• মীর তৌসিফ
বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের কথা শুনলেই মুভি, সিনেমেটিক দৃশ্য, গল্প বা কাহিনী দেখার আগ্রহটা বেড়ে যায় মানুষের হৃদয়ে। আর যাই করুক চলচ্চিত্রের মজা কোথাও খুঁজে পাওয়া অসম্ভব! আর যদি বলা হয় নতুন কোন অভিনেতার আবির্ভাব ঘটতে চলেছে, তাহলে তো কোনো কথাই নেই। তাকে দেখার জন্য উন্মুখ; উৎসুক জনতা! অভিনেতা-অভিনেত্রীরাই পারে অভিনয়ে প্রতিটা দর্শকের মনের কোণে কোণে ভালোবাসা পাহাড় গড়ে তুলতে। তাদের অভিনয়ে বাস্তবে কোনকিছুর সাদৃশ্য না পেলেও, কল্পনার জগতে তারাই যেন মহারাজ্যের মহারাজা-মহারানি!
এজন্যই হয়তো সুইডিশ চলচ্চিত্র নির্মাতা ইঙমার ব্যার্গমান বলেছিলেন, চলচ্চিত্র স্বপ্নের মতো, সঙ্গীতের মতো। আর কোনো শিল্পই চলচ্চিত্রের মতো করে আমাদের চেতনার বাড়িতে হানা দিতে পারে না। চলচ্চিত্র আমাদের অনুভূতিতে, আমাদের আত্মার আঁধার কুঠুরিতে ঠিকই সরাসরি ঢুকে পড়ে।
বলছি সাজ্জাদ চৌধুরীর কথা। “লালটা না কালাটা Confused মনটা” একটি আইটেম সং দিয়ে অভিনয় জগতে বিচরণ শুরু। গানটিতে জায়গা করে নিয়েছে কোটি কোটি দর্শকের হৃদয়ে। সবার মুখে এখন শুধু একটাই কথা “লালডা না কালাডা”। আইটেম সংটিতে গতানুগতিকের চেয়ে উপস্থাপন, সুর, সেটাপ সব কিছুই একেবারেই ভিন্ন রকমের। এ যেন ঘরে বসেই হিন্দি মুভির গান দেখার সুযোগ মিলেছে!
২০১৭ সালে চ্যানেল ২৪-এ “মুখোশ আধার আলো” দিয়ে মিডিয়া জীবনের পথচলা শুরু। শুরু হয় তার জীবনে নতুন জগত, নতুন আঙ্গিকায় নিজেকে সাজিয়ে নেওয়ার এক অনন্য প্রতিভাবন! এরপর আস্তে আস্তে তার কাজ দিয়ে জয় করে নিয়েছে দর্শকের হৃদয়ের স্পন্দনে। ২০১৭ সাল থেকে ২০১৮ পর্যন্ত শুরুটা ধীরগতিতে চললেও, ২০১৯ সালে এসে করোনাভাইরাসের কারণে কিছুটা বাধাগ্রস্থ্য সৃষ্টি হয় কাজে। করোনা এই মহামারির সময়ে আধার পেরিয়ে এক চিমটি আলো আনার যে প্রচেষ্টা সেটা এখনও অব্যাহত রেখেছেন।
২৭ জুলাই আরটিভির ইউটিউব চ্যানেলে রিলিজ হয় সাজ্জাদের “লালটা না কালাটা Confused মনটা” আইটেম সং। এরপর পবিত্র ঈদুল আযহা’র দিন আরটিভি’তে গানটি বিশেষভাবে পরিবেশিত হয়। গানটিতে অভিনয় করেছেন, সাজ্জাদ চৌধুরী, সনিয়া জামান জারা, আরিয়ানা জামান। পরিচালনা করেছেন এম এইচ রিজভী।
দৈনিক জাগরণের সঙ্গে একান্ত আলাপকালে তিনি বলেন, আমি অনেক ইচ্ছা পুষে রেখেছিলাম মিডিয়াতে এসে নতুনত্ব নিয়ে পরিকল্পনা করে কাজ করার। আমার কাজের ধরনটা একেবারেই ভিন্ন বলতে পারেন। কারণ, আমি আমার কাজকে সম্পূর্ণ ভিন্ন রকমের পরিপূর্ণতা দিয়ে শেষ করতে চাই। এরই মাঝে বেশ কয়েকটা মিডিয়ার সঙ্গে কাজ করেছি। আমি বলবো মিডিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্তা থাকলেও অভিনয় জগতে নতুন বলেই নিজেকে আখ্যায়িত করতে চাই। কেননা, আমি চাই নতুন দিয়ে শুরু করে সামনের দিকে আরও ভালো কিছু যেন করতে পারি এই প্রত্যাশাই কামনা করি। ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটা কাজের পরিকল্পনা হয়ে গেছে। করোনার কারণে আপাতত কিছুটা বিরতিতে থাকতে হয়েছে। আমি আশাবাদী কাজগুলো শেষ করতে পারলে সামনের দিকে আরও নতুনত্ব নিয়ে দর্শকদের মাঝে আসতে পারবো।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনায় কাজ করার পরিকল্পনা ইতোমধ্যেই আমরা হাতে নিয়েছি। ''একটি গান কলকাতায় কম্পোজার হচ্ছে করোনা স্বাভাবিক হয়ে গেলেই আমরা কাজটা শুরু করবো। বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনার এটাই যে প্রথম কাজ তা না, আমরা চাই ভারতের সাথে যৌথ প্রযোজনায় সামনের দিকে আরও নতুন কিছু করার।''
জাগরণ/এমএইচ