নিখিল উভয়কামী, এই বিষয়টা জানতে পেয়ে চরম মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে ছিলেন কলকাতার অভিনেত্রী নুসরাত জাহান। নিখিলের অনেক সঙ্গীই নাকি নুসরাতেরও বন্ধু। সেই নিয়েই নাকি দুজনের মধ্যকার ঝামেলা শুরু হয়।
গত কয়েকমাস ধরে নুসরাত জাহান বিতর্কে যেন সমার্থক শব্দ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নায়িকার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে চর্চার শেষ নেই। নিখিল জৈনের সঙ্গে তার ভাঙা ‘বিয়ে’, যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে সহবাস এবং ঈশানের মা হওয়ার- সবকিছু নিয়েই তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
নুসরত জাহান-নিখিল জৈন টানাপড়েন আবার নতুন মোড় নিল। ভেঙে-যাওয়া সম্পর্কে দেখা দিল নতুন মোচড়। নিখিল জৈনের সঙ্গে তার সম্পর্কের নিরিখে কোনো দিনই তিনি ‘সহবাস’ শব্দটি ব্যবহার করেননি বলে সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন নুসরত জাহান।
নিজের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে গিয়ে নিখিলের পাঠানো আইনি নোটিসের দু'টি লাইন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করেছেন তিনি। তাতে নুসরত বলতে চেয়েছেন নিখিলই প্রথম ‘লিভ ইন' বা ‘সহবাস’ শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। তিনি নন।
জানা গেছে, বিয়ের মাস কয়েক পর, ২০১৯ সালের নভেম্বরে নুসরাতের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর শোনা গিয়েছিল। নিখিলের জন্মদিনের ঠিক পরেই ঘুমের ওষুধ খেয়েছেন নুসরাত, এই খবর রটেছিল টলিপাড়ায়। শোনা যাচ্ছে, নিখিলের জন্মদিনের রাতে নিখিল ও তার এক বন্ধুকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেন নুসরাত। নিখিলের ওই বিবাহিত বন্ধুর স্ত্রীও নাকি দুজনের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন!
তবে নুসরতের ঘনিষ্ঠমহলের দাবি, ওই বন্ধুর পাশাপাশি একাধিক রূপান্তরকামীদের সঙ্গে নিখিলের সম্পর্কের কথা নুসরাত জানতে পেরেছিলেন। তবে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। অভিযোগের শেষ এখানেই নয়। নিখিল নাকি নেশাগ্রস্ত থাকতেন, প্রায়সময়ই মাঝরাতে বাড়ি ফিরতেন, এবং বাথরুমে ঘুমিয়ে পড়তেন। পরদিন এইসব কিছু দিনের পর দিন সহ্য করতে না পেরেই ‘বিয়ে’ ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন নুসরাত। এমনকি নুসরতের আর্থিক বিষয়টাও পুরোটাই ‘কন্ট্রোলে’ রাখতেন নিখিল।
এনিয়ে নিখিল পাল্টা বলেছেন, ‘আমি সহবাস শব্দটা ব্যবহার করব কী করে? আমি তো নিজে ওকে সিঁদুর পরিয়ে বিয়ে করেছিলাম! নুসরাত আমার বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। আমি ওকে বার করে দিইনি। যখন বুঝলাম, ও যশের সঙ্গেই এখন থাকবে, তখন আইনি নোটিস পাঠাই।’
নিখিল আরও বলছেন, তার স্কুলের ছোটবেলার বন্ধুকে নিয়ে যে ধরনের শারীরিক সম্পর্কের ইঙ্গিত করা হয়েছে, তা ন্যক্কারজনক। সেই বন্ধুটির বিবাহবিচ্ছেদ প্রসঙ্গে তার সঙ্গে বন্ধুর যৌন সম্পর্কের যে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, তাতেও যারপরনাই ক্ষুব্ধ নিখিল। তার কথায়, ‘ও আমার ছোটবেলার বন্ধু। ওর পরিবারের সঙ্গে আমার পরিবারের খুবই ঘনিষ্ঠতা। সেই ঘনিষ্ঠতা নিয়ে এত নোংরা ব্যাখ্যা করা হল?’
জাগরণ/এমইউ