পরীর জন্ম ও বেড়ে ওঠা পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার সিংহখালী গ্রামে। ইন্টারনেট ঘাঁটলে নায়িকা পরীমণির জন্ম ও বেড়ে ওঠা সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট, সঠিক তথ্য পাওয়া যায় না।
জানা যায়, নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন পরীমণি। তার আসল নাম শামসুন্নাহার স্মৃতি। দাদাবাড়ি নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলায়। তবে সেখানে কখনো যাওয়া হয়নি তার।
পরীমণি তার জন্মদিন পালন করেন ২৪ অক্টোবর। তবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিগ্রি কলেজের রেজিস্টারে থাকা তথ্য অনুসারে, তার জন্মদিন ১৯৯২ সালের ১৫ ডিসেম্বর। এসএসসি পাসের পর সেখানেই ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।
দক্ষিণ সিংহখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাজীবনের সূচনা হয় পরীমণির। স্কুল জীবনে দারুণ মেধাবী ছিলেন তিনি। পঞ্চম শ্রেণিতে তিনি বৃত্তি পর্যন্ত পেয়েছিলেন। চমকপ্রদ ব্যাপার হলো, এখনো অব্দি ওই স্কুলে পরী ছাড়া আর কেউই বৃত্তি পাননি। এ কারণে স্কুলের শিক্ষকেরা এখনো তাকে নিয়ে গর্ব করেন।
জীবনে অনেকগুলো বড় ধাক্কা সামলাতে হয়েছে পরীমণিকে। মাত্র ৩ বছর বয়সে তার মা আগুনে পুড়ে মারা গিয়েছিলেন। এরপর ২০১২ সালে মারা যান তার বাবাও। তাই ছোট বেলা থেকে নানা-নানির আদর-শাসনে বড় হয়েছেন তিনি।
২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন পরীমণি। তবে ক্লাস করেননি। চলে আসেন ঢাকায়। স্বপ্ন ছিল বিনোদন জগতে কাজ করার। সুদর্শনা হওয়ার সুবাদে খুব বেশি সময় লাগেনি কাজ পেতে। মডেলিং দিয়ে শোবিজের পথচলা শুরু হয়। এরপর কিছু নাটকেও কাজ করেন তিনি।
সিনেমায় পরীমণির যাত্রা শুরু হয় ২০১৫ সালে। ওই বছর তিনি প্রায় দুই ডজন সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন। যার ফলে রাতারাতি আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসেন এ নায়িকা। তার প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমার নাম ‘ভালোবাসা সীমাহীন’।
পরবর্তীতে তিনি আলোচিত হয়েছেন ‘আরো ভালোবাসবো তোমায়’, ‘রানা প্লাজা’, ‘রক্ত’, ‘অন্তর জ্বালা, ‘স্বপ্নজাল’, বিশ্বসুন্দরী’ ও ‘স্ফুলিঙ্গ’ সিনেমার সুবাদে। বর্তমানে তার হাতে একগুচ্ছ সিনেমার কাজ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ‘প্রীতিলতা’, ‘১৯৭১ সেই সব দিন’, ‘বায়োপিক’ ও ‘গুনিন’।
জাগরণ/এমইউ