অভিনেত্রী স্পর্শিয়া ও তার বন্ধু প্রাঙ্গন দত্ত অর্ঘকে (৩৩) গভীর রাতে আটক করে রাজধানীর ধানমন্ডি থানা পুলিশ। পরে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান তারা।
পুলিশ বলছে, মদ্যপ অবস্থায় পুলিশের সঙ্গে অসাদচারণ করায় তাদের থানায় নেওয়া হয়েছিল।
এ ব্যাপারে অভিনেত্রী স্পর্শিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, 'একটি পারিবারিক প্রোগ্রাম থেকে রাত ১১টার পর আমরা ফিরছিলাম। আমাদের গাড়ির গতি ছিল ৬০ কিলোমিটার। এ গতিকে পুলিশ বেপরোয়া গতি বলছে। সেখানকার দায়িত্বে থাকা পুলিশ প্রাঙ্গনকে থানায় যেতে বলে, আর আমাকে বাসায় চলে যেতে বলে। আমি জেদ করেই প্রাঙ্গনের সঙ্গে থানায় যাই। এরপর প্রাঙ্গনকে আলাদা রুমে নিয়ে কথা বলে পুলিশ। মুচলেকা দিয়ে নাকি কীভাবে ছাড়া পেয়েছে আমি তা জানি না। রাত তিনটার দিকে আমরা দুজনে একসঙ্গে থানা থেকে বেরিয়ে আসি।' তবে নিজে মদ্যপ থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন স্পর্শিয়া।
তিনি আরও বলেন, 'এটা বড় কোনো ইস্যু নয়। তারা থানায় আমার সঙ্গে ভালো আচরণ করেছেন।'
এর আগেই জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) রাতে ধানমন্ডির ৮-এ রোডে ইউনিমার্ট শপিং সেন্টার এলাকায় ধানমন্ডি থানার এসআই মাহবুব উল আলম এবং এসআই মাইনুল ইসলাম টহল উিউটিতে ছিলেন। রাত ১২ টার দিকে আবাহনী মাঠের দিক থেকে জিগাতলার দিকে একটি অভিজাত প্রাইভেট কার (ঢাকা মেট্টো-ঘ-১৭-৪০৭২) বেপরোয়া গতিতে যাচ্ছিল। ইউনিমার্টের সামনের সড়কে একটি রিকশাকে ধাক্কা দেওয়ার উপক্রম হয়েছিল গাড়িটি। এসআই মাহবুব গাড়িটি থামার সংকেত দেন। ওই গাড়িতে ছিলেন অভিনেত্রী স্পর্শিয়া ও তার বন্ধু প্রাঙ্গন দত্ত অর্ঘ। প্রাঙ্গন গাড়ি চালাচ্ছিলেন আর পাশের সিটে ছিলেন স্পর্শিয়া।
তাদের গাড়ি কেনও থামানো হয়েছে- এমন প্রশ্ন করে পুলিশের ওপর চড়াও হন তারা। পুলিশের সঙ্গে অসাদাচরণ করেন। মদ্যপ অবস্থায় কি না প্রাঙ্গনের কাছে জানতে চায় পুলিশ। এ সময় প্রাঙ্গন বলেন, তার মদ্যপানের লাইসেন্স রয়েছে। কিন্তু তখন লাইসেন্স দেখাতে পারেননি। এক পর্যায়ে গাড়িসহ তাদের ধানমন্ডি থানায় নেওয়া হয়। পরে রাতেই প্রাঙ্গন মুচলেকা দেন থানায়। এরপর স্পর্শিয়া ও তিনি ছাড়া পান। মদ্যপ অবস্থায় থাকার কথা মুচলেকায় উল্লেখ করেন প্রাঙ্গন। অবশ্য মুচলেকায় স্পর্শিয়ার নাম উল্লেখ করেননি।
এসআই মাহবুব গণমাধ্যমকে জানান,'গাড়ি কেনও থামানো হয়েছে, এই প্রশ্ন তুলে প্রাঙ্গন খারাপ আচরণ করেন। স্পর্শিয়াও চিৎকার চেঁচামেচি করছিলেন। অবশ্য আমরা তার সঙ্গে কথা বলিনি। যেহেতু প্রাঙ্গন মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন তাই তাকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে সিনিয়র স্যারদের সঙ্গে কথা বলে থানায় নেওয়া হয়।'
ধানমন্ডি থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া গণমাধ্যমকে জানান, দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানোর কারণে পুলিশ গাড়ি থামিয়ে প্রাঙ্গনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। গাড়িতে স্পর্শিয়া ছিল। তারা পুলিশের সঙ্গে অসাদচারণ করেন। এ কারণে তাদের থানায় নেওয়া হয়েছিল। রাতেই মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাদের।
ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন