তরুণ প্রজন্মের সুপরিচিত গায়ক ইলিয়াস হোসাইনের সঙ্গে সংসার পেতেছিলেন ক্রিকেটার নাসিরের সাবেক প্রেমিকা মডেল ও অভিনেত্রী সুবাহ শাহ হুমায়রা। আগে থেকেই তাদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ১ ডিসেম্বর পারিবারিক আয়োজনে বিবাহবন্ধনে আবন্ধ হন তারা। তবে এটি সুবাহর প্রথম বিয়ে হলেও ইলিয়াসের তৃতীয় বিয়ে।
এদিকে বিয়ের মাস না পেরুতেই ইলিয়াস-সুবাহর সংসারে ভাঙনের সুর বাজে। স্বামীর বিষয়ে একের পর এক বিস্ফোরক বিষয় প্রকাশ্যে আনেন সুবাহ। অন্যদিকে ইলিয়াসও চুপ থাকেননি।
ইলিয়াস-সুবাহর এখনো বিচ্ছেদ ঘটেনি। কবে হবে সে বিষয়েও পরিষ্কার কিছু জানা যায়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায়ই ইলিয়াসের বিষয়ে নানান ঘটনা তুলে ধরেন সুবাহ। এই গায়কের সঙ্গে দাম্পত্য কলহ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত কীভাবে তার দিন কাটছে- এবার সে চিত্রই তুলে ধরেছেন অভিনেত্রী।
সুবাহর স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো- ‘একটা মানুষের যখন ব্রেকআপ হয় তখন সে এতটাই ডিপ্রেশনে চলে যায় যে, অনেকেই আত্মহত্যা করে বসে সামান্য প্রেমের সম্পর্কের কারণে! সেখানে আমি সুবহা এত কিছুর পরে নিজের জীবনটাকে গুছিয়ে নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখে ঘর বেঁধেছিলাম, বিয়ে করেছিলাম। সেইটা ২ মাসের মধ্যে শেষ হয়ে গেলো।
ঘরোয়াভাবে হলেও সব রীতি রেওয়াজ অনুযায়ী হলুদ, মেহেদি, রেজিস্ট্রি কাবিন সব করেই বিয়েটা হয়েছিল আমাদের। কিন্তু সেটা যে এত তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাবে কখনও কল্পনা করিনি আমি!
দুঃস্বপ্নের মত লাগছে আমার কাছে। ওই ঘটনার পরে কতো যে কেঁদেছি মানুষের সামনে এবং আড়ালে সেটা আমার চোখ দুটি ভালো সাক্ষী দিতে পারবে।
প্রতিটা মানুষেরই বিপদে পরে দেখা উচিত কে কে তার দুঃসময়ে পাশে থাকে। আমার এই বিপদের সময় অনেকেই আমার পাশে ছিল এবং আছে, ওই জন্য হয়তোবা আমি এত স্ট্রং আছি, বেঁচে আছি। কিন্তু ভিতরে ভিতরে আমার নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। আমি যখনই ভাবছি, হঠাৎ করে এত আয়োজন করে বিয়ে হল! এইভাবে চোখের পলকেই বিশ্বাস ঘাতকের জন্য শেষ হয়ে গেল আমার সবকিছু। স্বপ্ন ভেঙে গেলো আমার।
আমি পুরা ট্রমার মধ্যে আছি মানসিকভাবে। সবকিছু এলোমেলো লাগছে, কি করে একটা মানুষ এত বিশ্বাসঘাতক হতে পারে? কি করে একটা মানুষ এত বিবেকহীন হতে পারে? সেই লোকটার কাছে বিয়েটাও একটা মজা, বিয়েটাও একটা খেলা, বিয়েটাও একটা বিজনেস।
শুধু অপেক্ষায় আছি এই মিথ্যা সম্পর্কের বাঁধন থেকে কবে ছুটিয়ে নিয়ে মুক্তি দিতে পারব নিজেকে। তবে আমার কাছের কিছু আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধুবান্ধব আছে তারা আমার লাইফে ফেরেশতার মতো আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট করে যাচ্ছে। তাদের প্রতি আমি সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকব। তারা না হলে আজ আমি বেঁচে থাকতাম না। আমার মত খারাপ সময় কারও যেন জীবনে না আসে।
মানুষ শুধু গায়ের আঘাতের চিহ্নগুলি দেখে, কিন্তু মনের ভিতরে যে রক্তক্ষরণ হয় কারো চোখে পরে না। চোখে পরে যারা আমার আত্মার আত্মীয়, পরম বন্ধু, শুভাকাঙ্ক্ষী এবং আমার মায়ের। আল্লাহ তাদেরকে সব সময় ভালো রাখুক আর তাদেরকে যেন আমি এভাবেই মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমার জীবনে পাশে পাই। আমিন।’