চেয়ারে বসে মিটিং করা নিয়ে মুখ খুললেন নিপুণ

বিনোদন ডেস্ক প্রকাশিত: মার্চ ২৭, ২০২২, ০৪:৩৬ পিএম চেয়ারে বসে মিটিং করা নিয়ে মুখ খুললেন নিপুণ

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে চিত্রনায়ক জায়েদ খান ও চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারের আইনি লড়াই চলছে। দুই মাস হতে চলল নির্বাচন শেষ হয়েছে, এখনও পদটি নিয়ে জটিলতার অবসান ঘটেনি। চূড়ান্ত রায় না হওয়া পর্যন্ত কেউই সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসতে পারবেন না বলে নির্দেশ দিয়েছেন চেম্বার আদালত।

এদিকে আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে এরই মধ্যে বেশ কয়েকবার সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসেন ভোটে পরাজিত নিপুণ আক্তার। সবশেষ গত শনিবার (২৬ মার্চ) নিপুণের চেয়ারে বসা ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন সহসাধারণ সম্পাদক সাইমন সাদিক। ক্যাপশনে কার্যকর পরিষদের মিটিং বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। ছবিতে শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনকেও দেখা যাচ্ছে। তার নেতৃত্বেই মিটিং সম্পন্ন হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন মহলে নানান প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে নিপুণ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি যেটা করছি, সেটা আপনি হলেও করতেন। আজ শিল্পী সমিতিতে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে, মিজু আহমেদ ভাইয়ের মৃত্যুবার্ষিকী। সংগঠনের এসব কাজ করতে হবে না? শুধু দূর থেকে মামলা মোকাদ্দমা নিয়ে কথা বললেই হবে?’

তিনি আরও বলেন, ‘সামনে রমজান মাস। বেশ কয়েকজনের নিয়মিত খাবার আয়োজন করতে হবে। অনেক শিল্পীরা রয়েছে, কর্মচারীরা আছে- যাদের দেখতে হবে। এভাবে সমিতি থামিয়ে রাখলে হবে? সমিতি চলছে, আমি একজন শিল্পী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি, কোনো পদ ধারণ করে নয়। শিল্পী সমিতির কর্মচারীদের বেতন বাকি এটা কে দেবে? আমরাই সম্মিলিতভাবে দিচ্ছি। শুধু সমালোচনা করলে তো হবে না।’

মিটিং করার বিষয়ে ইলিয়াস কাঞ্চন গণমাধ্যমকে জানান, ‘দেখুন বিষয়টি আমি নিজেও পরিষ্কার না। নিপুণের আইনজীবী বলছেন তার পক্ষে কথা, জায়েদের আইনজীবী বলছে জায়েদের পক্ষে কথা। শুধু তাই নয় মহামান্য বিচারপতিও বিষয়টি পরিষ্কার করছেন না। আমি বা আমরা কী করবো? আমাদের তো মিটিং করতে হবে তাই না!’

আদালতের নির্দেশ গণমাধ্যমের কাছে আছে, কিন্তু আপনি জানেন না- এমন প্রশ্নের উত্তরে সভাপতি বলেন, আপনাদের কাছে কোর্টের কাগজ থাকলে তা আপনারা ভালো করে বিশ্লেষণ করে দেখুন। আমি তো আর অ্যাডভোকেট না।’

সূত্রের খবর, শিল্পী সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি ডিপজল, সহসভাপতি রুবেলসহ মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে নির্বাচিত অনেক সদস্যই কার্যকর পরিষদের মিটিংয়ের বিষয়ে জানতেন না। বিষয়টির সত্যতা জানতে চাইলে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘আমি এসবের কিছু জানিনা। বিষয়টি দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জানেন। আমি তাদেরকে নির্দেশ দিয়েছি সবাইকে জানাতে। তারা জানিয়েছে কি না, সেটি তাদের জিজ্ঞাসা করুন।’

ইউএম