একাধিক পুরুষের সঙ্গে আসক্ত

সানিকে কীভাবে বিয়েতে রাজি করিয়েছিলেন ড্যানিয়েল

বিনোদন ডেস্ক প্রকাশিত: মে ১৩, ২০২২, ০৭:৩৬ পিএম সানিকে কীভাবে বিয়েতে রাজি করিয়েছিলেন ড্যানিয়েল

ইতিমধ্যেই বি-টাউনে বেশ জনপ্রিয় সানি লিওন। আজ অভিনেত্রীর জন্মদিন।  ৪১-শে পা দিলেন সানি লিওন।  অভিনেত্রীর  আসল নাম করণজিৎ কৌর ভোহরা। সালটা ২০১২ 'জিসম ২' ছবিতে বলিউডে ডেবিউ করেন অভিনেত্রী। রিয়েল লাইফে যতটাই সাহসী অবতারে নজর কেড়েছেন রিয়েল লাইফে ততটাই নরম মনের মানুষ সানি। বর্তমানে স্বামী ড্যানিয়েল তার জীবনে অনেকটা জুড়ে রয়েছে কিন্তু একদিন এই ড্যানিয়েলের ভালবাসাতেই সাড়া দেননি সানি। এমনকী বিয়েতেও রাজি হননি। কীভাবে চারহাত এক হয়েছিল, জন্মদিনে জেনে নিন সেই অজানা কাহিনি।
 
সানি লিওন নামটা শুনলেই যেন চোখের সামনে অনেক কিছুই ভেসে ওঠে। কিন্তু লাস্যময়ীর এমন একটা দিক প্রকাশ্যে উঠে এসেছে যা শুনলে সকলেই অবাক হবেন। বরাবরই নেটদুনিয়ায় অ্যাক্টিভ অভিনেত্রী সানি লিওন।  সম্প্রতি  সানির একটি সাক্ষাৎকার ভাইরাল হয়েছে। যা শুনেই চোখ কপালে উঠেছে নেটিজেনদের। 

২০১২ সালে 'জিসম ২', নীল ছবির লাস্যময়ী সানি লিওনের বলিউডে আত্মপ্রকাশ। সালমান খানের বিগ বসের দৌলতে পরিচিতির শিখরে পৌছেছিলেন সানি লিওন। সেই পর্ন তারকাই আজ বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। একের পর এক ছবি দিয়েই জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছেন সানি লিওন ।

একটি সাক্ষাৎকারে সানি জানিয়েছিলেন,  লাস ভেগাসে এক বান্ধবীর সঙ্গে থাকতেন সানি।  সেখানেই এক রোস্তোরাঁয় ড্যানিয়েলের সঙ্গে প্রথম দেখা হয়েছিল সানির। ব্যান্ডের শো করতে গিয়ে প্রথম দেখাতেই সানির সৌন্দর্যে প্রেমে পড়ে গেছিলেন ড্যানিয়েল। সেদিন সানির কাছে এসেই তার নাম জিজ্ঞাসা করেছিল ড্যানিয়েল। এমনকী ফোন নম্বর ও ইমেল আইডি চেয়ে নেন ড্যানিয়েল।

তারপরই সানিকে নিজের মনের কথা জানান ড্যানিয়েল। কিন্তু ড্যানিয়েলের ভালবাসার কথা শুনেও সানি রাজি হননি। সানির দিক থেকে কোনওরকম সাড়াও মেলেনি। তারপর থেকে যতবারই সানি সেই রেস্তোরাঁতে গেছে ফুলের তোড়া পেয়েছে।  এবং ইমেলের পর ইমেল জমেছে সানির আইডিতে।

যদিও সেই সময়টাতে সানি মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। একদিকে মায়ের মৃত্যু অন্যদিকে সম্পর্ক বিচ্ছেদ তাকে যেন পুরোপুরি ভাবে ভেঙে দিয়েছিল। অবশেষ সমস্ত কিছু থেকে বেরিয়ে একদিন ড্যানিয়েলের সঙ্গে ডেটে যান সানি। নিজেই বুঝতে পারছিলেন না এটা ঠিক হচ্ছে না ভুল। প্রথম দিন ডেটে গিয়েই একে অপরের সঙ্গে প্রায় ৫ ঘন্টা সময় কাটিয়েছিলেন।

তারপর থেকে ভাললাগার শুরু। তারপর থেকে একে অপরকে ফুল দেওয়া-নেওয়া চলতেই থাকে। দীর্ঘ তিন বছর ডেটিংয়ের পর  ২০১১ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন দুজনে। সানি আরও জানিয়েছেন পুরো রীতি মেনে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। এবং ঐতিহ্যকে বজায় রেখেই তারা গাটছড়া বেঁধেছেন।
 
প্রতিবছর জন্মদিনে অ্যাডভেঞ্চার ট্রিপ প্যাকেজ উপহার দেন ড্যানিয়েল। লকডাউনের জেরে এবছর তা আর হল না। শপিং করতে ও ঘুরতে ভীষণ ভালবাসেন সানি। স্বামী হিসেবে ড্যানিয়েল কতটা ভাল তা সাক্ষাৎকারেই প্রকাশ করেছেন সানি। 

বিয়ের পর দুজনে মিলে প্রোডাকশন হাউস তৈরি করেছিলেন। এবং দুজনেই নীল ছবিতে কাজ করেছেন। তারপর নীল ছবির দুনিয়া ছেড়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ হয়েছে সানির। তবে সানির জীবনে ভীষণ গুরুত্ব রয়েছে ড্যানিয়েলের। স্বামীর পরামর্শ না নিয়ে তিনি কোনও ছবিতেই অভিনয় করেন না। সবসময়েই সানির পাশে ছায়ার মতোন রয়েছেন ড্যানিয়েল।

পর্নস্টার তকমা ঝেড়ে ফেলে বলিউডে নিজের জায়গা পাঁকাতে অনেক পরিশ্রমই করতে হয়েছে সানিকে। কিন্তু কোনওভাবেই যেন সেই তকমা ছেড়ে বেরোতে পারছেন না সানি। সানির লেজবিয়ান নিয়ে আরও একটি গল্প রয়েছে। যা শুনেই চোখ কপালে উঠবে।

মা হওয়ার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেলে-মেয়েদের নিয়েই বেশিরভাগ ছবি  শেয়ার করেন। রিল লাইফের পাশাপাশি রিয়েল লাইফেরও নানা মুহূর্ত শেয়ার করে  সারাক্ষণ সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইমলাইটে থাকেন অভিনেত্রী সানি লিওন।

ইউএম