সোশ্যাল মিডিয়ায় সাহসী ছবি পোস্ট করতে এতটুকুও কুন্ঠাবোধ করেন না অভিনেত্রী মিশমি দাস। নিজের সাহসী কাজের কারণে একদিকে যেমন ভক্তদের প্রশংসা কুড়ান, তেমন অনেকের চক্ষূশূলও হন। পাশাপাশি ছোটপর্দায় খলনায়িকার চরিত্রে অভিনয় করায় 'রিনি'-র হেটার্সের তালিকা বেশ দীর্ঘ। তবে কাজের বাইরে যখন চরিত্র নিয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হয়, তখন ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙে। তেমনটাই ঘটল মিশমির সঙ্গে।
'এই পথ যদি না শেষ হয়' ধারাবাহিকে রিনির চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের অভিশাপ কুড়োচ্ছেন মিশমি। সেটাকে অবশ্য ভালোভাবেই নেন মিশমি, তার কথায়, ‘এটাই আমার অভিনয়ের সার্থকতা’।
কিন্তু সম্প্রতি এই সিরিয়ালের এক ফ্যান গ্রুপে মিশমিকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে ঊর্মি আর টুকাইদা-র দুই নারী ভক্ত। এই কুৎসিত ট্রোলিং নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন মিশমি। প্রকাশ্যে ওই দুই মেয়ের নাম আর কমেন্টের স্ক্রিন শট পোস্ট করেন অভিনেত্রী, কী রয়েছে তাতে?
রিণিতা চৌধুরী নামের একজন লিখেছেন, ‘অনস্ক্রিনের স্বভাব অফস্ক্রিনেও গেল না’। সেই কমেন্টের জবাবে অর্চিতা আটা বলে এক জনৈক লেখে, ‘সেই তো ড্রেসটা দেখ, পুরো রেড লাইট এলাকার মেয়ে লাগছে’। এই মন্তব্যের জবাবে পর্দার রিনি লেখেন, ‘হ্যাঁ, আমি পর্দায় নেতিবাচক চরিত্র করি, রিনি চরিত্রটা অসহ্যকর, তাই হওয়ার কথা। যখন এটা আমাকে কেউ বলে আমি দুঃখ পাই না, উলটে ভাবি আমি হয়তো চরিত্রটা জাস্টিফাই করতে পারছি। গল্পের জন্য, চরিত্রটা চিত্রনাট্য অনুযায়ী ফুটিয়ে তোলবার জন্য আমাকে কিছু পোশক এবং মেক-আপ করতে হয়। সেটা সবার সবারমতো করে ভালো-খারাপ লাগতেই পারে।’
এরপর মিশমির সংযোজন, ‘কিন্তু এর জন্য আমাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে আপনারা আপনাদের লালন-পালন এবং শিক্ষার পরিচয় দিচ্ছেন সোশ্যাল মিডিয়াতে। আমার কিন্তু ছিঁটেফোঁটাও ক্ষতি হচ্ছে না। বাস্তব আর সিরিয়ালের মধ্যেকার পার্থক্যটা বুঝতে শিখুন। আর স্মার্টফোন আছে মানেই যা ইচ্ছে তাই লিখবেন না। আমরা পর্দায় অভিনয় করি, কিন্তু আমরাও মানুষ’।
মিশমির এই জবাবে মুগ্ধ নেটপাড়া। নায়িকার প্রশংসা করে অভিনেত্রী দেবচন্দ্রিমা লিখেছেন, ‘আসলে আঙুর ফল টক’। অভিনেত্রী রূপা ভট্টাচার্য লেখেন, ‘এরা আসলে গ্ল্যামার জগতের জীবনটা হিংসে করে’। এইসব ট্রোলারদের পাত্তা না দেওয়ার উপদেশ দেন রূপা।