অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুর মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য ঘনীভূত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) বিকাল ৪টার দিকে এই শিল্পীকে উত্তরার আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। মুহূর্তেই হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান তাঁর প্রেমিক। অভিনয় শিল্পী সংঘ জানিয়েছে, অভিনেত্রীর শরীরে আঘাতের চিহ্নও রয়েছে।
এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিনয় শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসান একটি পোস্ট দেন। সংগঠনটির পক্ষে থেকে তিনি লিখেছেন, ‘অভিনয়শিল্পী হুমায়রা হিমু আমাদের ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন। বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা ৪৬ মিনিটে হিমুর একজন বন্ধু ও মিহির হাসপাতালে তাকে নিয়ে আসেন। পৌঁছানোর পর উপস্থিত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার গলায় হালকা দাগ দেখতে পাওয়ায় ডাক্তার পুলিশ ডাকেন। পুলিশ ডাকাতে সেই বন্ধু চলে গেলে এখন পুলিশ তাকে খুঁজছে। মৃত্যুর কারণ পোস্টমর্টেম রিপোর্টের পর বিস্তারিত জানা যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অভিনয় শিল্পী সংঘের প্রতিনিধিগণ হাসপাতালে উপস্থিত আছেন। হাসপাতাল এবং দাফনসহ যাবতীয় প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সবকিছু অভিনয়শিল্পী সংঘ সম্পন্ন করবে।’
অভিনেত্রী উত্তরার নিজ বাসায় আত্মহত্যা করেছেন বলেও খবর ছড়িয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনও কেউ নিশ্চিত করেনি। ইনডিপেনডেন্ট ডিজিটালকে শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবীব নাসিম বলেন, ‘আত্মহত্যা নাকি হত্যা এখনই বলা যাচ্ছে না। বিকালে হিমুকে হাসপাতালে নিয়ে যায় তাঁর ছোট বোন মিহির ও প্রেমিক। হাসপাতালে নেওয়ার পর ডাক্তার মৃত্যু ঘোষণা করেন। কর্তব্যরত ডাক্তার পুলিশ কল করলে তাঁর প্রেমিক হিমুর ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়।’
মঞ্চ নাটকের মধ্য দিয়ে ২০০৫ সালে অভিনয় জগতে পা রাখেন হুমায়রা হিমু। ২০০৬ সালে প্রচারিত হয় তাঁর প্রথম টিভি নাটক ‘ছায়াবীথি’। একই বছর ‘পিআই (প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর)’ নামে একটি টিভি সিরিয়ালেও অভিনয় করেন তিনি। এরপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। একে একে ‘বাড়ি বাড়ি সারি সারি’, ‘হাউজফুল’ ও ‘গুলশান এভিনিউ’সহ বেশ কিছু জনপ্রিয় নাটকে দর্শকের প্রশংসা কুড়িয়ে নেন এই অভিনেত্রী।
চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন হিমু। ২০১১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ মাধ্যমে তাঁর বড় পর্দায় অভিষেক হয়। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গল্পে নির্মিত এ সিনেমায় ‘অরু’ চরিত্রে বেশ প্রশংসিত হন তিনি।
জাগরণ/দেশেরবিনোদন/এসএসকে