বছর দু’য়েক আগে যখন জনপ্রিয় গায়ক ও সঙ্গীত পরিচালক অনুপম রায় আর পিয়া চক্রবর্তীর মধ্যে বিচ্ছেদ হয়ে যায়, তখনই নেপথ্যের ব্যক্তি হিসাবে নাম উঠে এসেছিল, কলকাতার জনপ্রিয় এক অভিনেতার নাম। গুঞ্জন ওঠে অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রেমের জেরেই এই বিচ্ছেদ।
বছর দু’য়েক পরে সেই গুঞ্জনই সত্যি হলো। সাতপাকে বাঁধাই পড়লেন পরমব্রত-পিয়া। গুঞ্জন সত্যি হতেই হুলুস্থূল টলিউডে। প্রথম যখন পরমব্রতর দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছিল, তখন প্রচণ্ড প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন তিনি। প্রযোজক-পরিচালক-অভিনেতার দাবি, অপপ্রচার চলছে তার নামে।
সোমবার সকালেই জানা যায়, বিকেলে খুব সাদামাটা আয়োজনে এবং একান্তই কাছের মানুষের উপস্থিতি সাতপাকে বাঁধা পড়ছেন তারা। শেষ খবর পর্যন্ত, বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিলো। তবে বিস্তারিত কিছুই জানা যায়নি। কারণ, সেখানে গণমাধ্যমের প্রবেশ ছিলো একেবারেই নিষিদ্ধ।
সোমবার দুপুরে যোধপুর পার্কের বাড়িতেই রেজিস্ট্রি বিয়ে সারেন পরম-পিয়া। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও পিয়া চক্রবর্তীর আইনি বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা।
জানা গেছে, পরমব্রত-পিয়ার আইনি শুভ পরিণয়ে উপস্থিত ছিলেন ২৫ থেকে ৩০ জন। মেনুতে এলাহি কিছু নয়, ভাত-ডাল, মাছ-মাংস, চাটনি, মিষ্টি ছিল।
বর-কনের সাজ একেবারে ছিমছাম অথচ নজরকাড়া। পরমব্রতর পরনে গেরুয়া পাঞ্জাবি, সাদা পাজামা আর জওহর কোট। বিয়ের সাজে ছক ভেঙেছেন পিয়া। লাল নয়, কনে পরেছেন সাদা বেগমপুরি, লাল জামদানি ব্লাউজ়। সোনার গয়নায় সেজেছেন নববধূ। গলায় সোনার লহরি হার, হাতে সোনার কঙ্কন আর বালা।
নায়ক পরমব্রত আর গায়িকা পিয়ার পরিচয় ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের সময় থেকে। দুর্গতদের ত্রাণ বিলি করতে সেই সময় পরমব্রতর সঙ্গে একজোট হয়েছিলেন অনুপম, পিয়া, ঋতব্রত, অনুষা বিশ্বনাথন, ঋদ্ধি সেন, সুরঙ্গনা। এ দলটি পরে করোনার সময়েও মানুষের পাশে দাঁড়ায়। ধীরে ধীরে বন্ধুত্ব গাঢ় হয়। প্রেমের রং লাগে।
পিয়া একাধারে সমাজকর্মী এবং মানসিক স্বাস্থ্যকর্মী। আবার গায়িকাও। যদিও অনুপম রায়ের স্ত্রী হিসেবেই ভক্তমহলে পরিচিতি লাভ করেন।
২০২১ সালে অনুপমের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর থেকেই সে পরিচিতি বদলে যায়। পরমব্রতের পিয়ার প্রেমের গুঞ্জন সিনে ইন্ডাস্ট্রিতে রটতে দেরি হয়নি।
জাগরণ/বিদেশিবিনোদন/পশ্চিমবঙ্গেরসিনেমা/এসএসকে