এই বর্ষায় এডিস মশার প্রাদুর্ভাব ও ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে সিটি করপোরেশনসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে আগাম সতর্ক করেছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সোমবার (২৯ জুলাই) ডেঙ্গু প্রতিরোধে সর্বশেষ প্রস্তুতি জানাতে মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পুরাতন ভবনের সভাকক্ষে একটি সংবাদ সম্মেলনে অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক সানিয়া তাহমিনা এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, মার্চ মাসে আমরা ঢাকায় এডিস মশার বিষয়ে জরিপ পরিচালনা করি। যার ফলাফল ভাল ছিল না। বিষয়টি তখনই সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে রাখা হয়েছিল। ঢাকার বাইরেও এ রোগ ছড়ানোর আশঙ্কাও জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ডেঙ্গু পরীক্ষায় বেঁধে দেয়া ফি ঠিকমত আদায় হচ্ছে কিনা- তা নজরদারিতে অধিদপ্তরের ১০টি দল সোমবার থেকে মাঠে নেমেছে। পাশাপাশি প্রতিটি হাসপাতালে ‘ডেঙ্গু কর্নার’ এবং বিষয়টি তদারকি করার জন্য একজন ফোকাল পয়েন্ট নিয়োগ দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া দেশের প্রবেশমুখগুলোতে, বিশেষ করে বিমানবন্দর ও স্থল বন্দরে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আগামী বৃহস্পতিবার মেডিকেল কলেজগুলোর তত্ত্বাবধায়নে ঢাকার প্রতিটি জোনে ডেঙ্গু সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান চালাবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
কী বলা হয়েছিল মার্চের প্রতিবেদনে :
গত মার্চে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা একটি জরিপ পরিচালনা করে দেখতে পায়, ঢাকার বাসাবাড়িতে এডিস মশা জন্মের হার বৃদ্ধি পেয়েছে।
রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা বলছে, প্রতি বছর তারা একটি জরিপ করে। এর মাধ্যমে দেখা হয়, ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিস মশার প্রজননের হার। জরিপের একটি অংশ বর্ষা শুরুর আগে, একটি অংশ ভরা বর্ষায় এবং শেষ অংশ বর্ষার পরে করা হয়। বর্ষা শুরুর আগে মার্চ মাসে সম্পন্ন করা জরিপের প্রথম অংশেই ধরা পড়েছে, সেসময় ঢাকায় এডিস মশার লার্ভার ঘনত্বের সূচক ২২ শতাংশ ছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক সানিয়া তাহমিনা গত জুন মাসে দৈনিক জাগরণকে বলেছিলেন, এই ২২ শতাংশ বিপজ্জনক সীমারও বেশি। তাই বর্ষা শুরু হলে ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধির জোরালো আশঙ্কা আছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জরিপটি চালিয়েছে ঢাকার দুটি সিটি করপোরেশনের ৯৭টি ওয়ার্ডের ১০০টি স্থানে। প্রায় এক হাজার বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। যার মধ্যে নির্মানাধীন বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিং এবং পুরনো ভবন ছিল।
আরএম/টিএফ