ফ্লুর মতো করোনাভাইরাসও (কোভিড-১৯) কয়েক দফায় সংক্রমণ ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
তাদের দাবি, আগে থেকে সতর্ক না হলে করোনার দ্বিতীয় দফার হানা হতে পারে আরও বেশি ভয়ঙ্কর। আর এতে মারা যেতে পারে কয়েক লাখ মানুষ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন দফায় সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে দরকার কার্যকর প্রতিষেধকের।
১৯১৮ সালের স্প্যানিশ ফ্লু ইনফ্লুয়েঞ্জা মহামারি নামেও পরিচিত। প্রাণ হারায় ৫ কোটিরও বেশি মানুষ। এসেছিল কয়েক দফায়। যা ছিল প্রথমবারের চেয়ে অনেক বেশি ভয়াবহ।
১৯৫৭ থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত বিশ্বে অন্যান্য ফ্লু মহামারিও সংক্রমণ ঘটায় কয়েক দফায়। ২০০৯ সালের এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হয় সোয়াইন ফ্লু মহামারি।
সিডিসি বলছে, সেবার এটি কয়েক দফায় সংক্রমণ ঘটেছিলো শরৎ ও শীতে।
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, ফ্লুর মতো করোনাও নতুনভাবে ফিরে আসতে পারে। প্রতিষেধক আবিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত করোনা কয়েক দফা সংক্রমণ ঘটাতে পারে বলে হুঁশিয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার।
একই উদ্বেগ জানিয়েছেন সিডিসির পরিচালক ডা. রবার্ট রেডফিল্ড। তিনি আশঙ্কা করেন, দ্বিতীয় দফায় করোনা সংক্রমণ হতে পারে আরও বেশি ভয়াবহ।
গবেষকদের ধারণা, শুষ্ক ও ঠান্ডা আবহাওয়ায় অনেক দিন বেঁচে থাকে করোনাভাইরাস। আর গরমে এর সংক্রমণ কমে আসে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট ফর হোমল্যান্ড সিকিউরিটি। সে হিসেবে শীতের মৌসুমে করোনা প্রাদুর্ভাব ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শরৎকালে যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয় দফায় করোনা সংক্রমণ ঘটতে পারে বলে সতর্ক করেন দেশটির শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অ্যান্থনি ফাউচি। ভাইরাসটি অতি মাত্রায় সংক্রামক ও বিশ্বব্যাপী তা ছড়িয়ে পড়ায় এ আশঙ্কা তার।
করোনার দ্বিতীয় দফা সংক্রমণের ঝুঁকির আশঙ্কা জানান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলসহ কয়েক দেশের সরকারপ্রধান।ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
এসএমএম