করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবেলায় ৮টি ভ্যাকসিনকে মানুষের শরীরে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের (ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল) অনুমতি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)। আরও ১০০টি ভ্যাকসিন অনুমতি পাওয়ার জন্য প্রক্রিয়াধীন আছে।
বুধবার (৬ মে) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বরাতে এ তথ্য জানায় বিজনেস টুডে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, কোভিড ১৯ এর ৮ টি ভ্যাকসিন মানুষের শরীরে পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু হয়েছে, প্রস্তুত রয়েছে আরও ১০০ টি। এর মধ্যে চীনের তৈরি চারটি ভ্যাকসিন মানুষের শরীরে পরীক্ষা করা হয়েছে। ওই ভ্যাকসিনগুলো হিউম্যান ট্রায়ালের প্রথম এবং দ্বিতীয় স্তরে রয়েছে।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে খুব দ্রুত সময়েই প্রতিষেধক আনতে কাজ করে যাচ্ছে বিভিন্ন ডেভেলপারস ও অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান। তারা এই বছরের শেষ নাগাদ ভ্যাকসিন বাজারে আনার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
বিশ্বব্যাপী এ ভাইরাস এখন পর্যন্ত আড়াই লাখ মানুষের জীবন নিয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ৩৫ লাখ মানুষ।
ভাইরাস রেগুলেটরি এজেন্সির মতে, ফাস্ট-ট্র্যাকড ভ্যাকসিন বাজারে আনতে সময় লাগে ৭–১০ বছর।ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা পরীক্ষার প্রথম ও দ্বিতীয় স্তরে পৌঁছাতে সময় লাগে ২–৩ বছর এবং ৫০০–১০০০ মানুষের ওপর পরীক্ষা চালাতে হয়।
চীনের তিয়ানজিনে কানসিনো বায়োলজিকস কোম্পানি, উহান ইন্সটিটিউট অব বায়োলজিক্যাল প্রডাক্ট, বেইজিং ইন্সটিটিউট অব বায়োলজিক্যাল প্রডাক্ট এবং সার্স প্লাটফর্ম সিনোভ্যাক থেকে ভ্যাকসিন তৈরি করে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশন ডিজেস এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। যা এখন পরীক্ষার প্রথম ও দ্বিতীয় স্তরে রয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরও জানায়, বাকি ১০০ ভ্যাকসিন প্রি-ক্লিনিক্যাল পর্যায়ে রয়েছে। এর মধ্যে ভারতের রয়েছে ৭ টি।
অন্যদিকে ইসরাইলের ইন্সটিটিউট ফর বায়োলজিক্যাল রিসার্চ করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবেলায় অ্যান্টিবডি তৈরির ঘোষণা দিয়েছে। করোনা চিকিৎসায় ভালো ফল পাওয়ায় ব্যাপকভাবে উৎপদনে যাওয়ার কথা জানিয়েছে।
সম্প্রতি অনলাইনে অনুষ্ঠিত ৪০ দেশের এক সম্মেলনে ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ তহবিলের ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। যার মধ্যে ৪.৪ বিলিয়ন ব্যয় হবে ভ্যাকসিন তৈরিতে।
এসএমএম