দেশে করোনা শনাক্তে যখন ঊর্ধ্বগতি ঠিক সে সময়ে ঘোষণা এলো রোগ পরীক্ষার মূল সমন্বয়ের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে আইইডিসিআরকে। ফলে অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে প্রতিষ্ঠানটিতে থাকা দেড় হাজারের বেশি মানুষের নমুনা পরীক্ষার ফল। যদিও স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে, কাজের চাপ কমাতেই এমন সিদ্ধান্ত।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অংশ হিসেবে আইইডিসিআরকে কাজ করতে হবে সমন্বিতভাবে।
গত ৮ মার্চ তিনজন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকেই নমুনা পরীক্ষা সমন্বয়ের মূল কাজটি করেছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।
অথচ দেশে সংক্রমণ পরিস্থিতির গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এসে সমন্বয়ের কাজটি থেকে সরে যেতে হলো প্রতিষ্ঠানটিকে। এখন থেকে যা করবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। যে কারণে আইইডিসিআরে থাকা দেড় হাজারের বেশি মানুষের নমুনা পরীক্ষার ফল অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির মাত্রাতিরিক্ত কাজের চাপ কমাতেই এমন সিদ্ধান্ত দাবি স্বাস্থ্য অধিদফতরের।
আইইডিসিআরের একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী করোনায় সংক্রমিত-এমন খবরের পর প্রশ্ন ওঠে প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব পরীক্ষাগারের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েও। সেখানকার মূল পরীক্ষাগারটিও এখন সংক্রমিত। যদিও প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বিজ্ঞানী বলছেন ভিন্ন কথা।
করোনার হালনাগাদ তথ্য নিয়ে আইইডিসিআর এর নিয়মিত ব্রিফিং আর রাতের প্রেস বিজ্ঞপ্তির তথ্যেও ছিল বিস্তর ফারাক, যা বিভ্রান্তিতে ফেলে গণমাধ্যম কর্মীসহ সবাইকে।
এমন প্রশ্নে প্রধান বিজ্ঞানী বলেন, নিয়মিত বিরতীতে নতুন তথ্য যোগ করায় এই বিভ্রাট হতো।
আইইডিসিআর এর যে কোনো ব্যর্থতা স্বাস্থ্য অধিদফতরের ওপর বর্তায় তাই কোনও ধরনের প্রশ্ন তোলার সুযোগ না রেখে কাজ এগিয়ে নেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। চ্যানেলটোয়েন্টিফোর।
এসএমএম