নির্দিষ্ট বয়সের পর মেয়েদের শরীরে একটি স্বাভাবিক প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া শুরু হয়, যাকে আমরা পিরিয়ড বা মাসিক বলেই জানি। পিরিয়ডের রক্তের রং, এর বৈশিষ্ট এবং স্থায়িত্ব একেকজনের একেক রকম হয়। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, নারীদের পিরিয়ডের রক্তের রং জানিয়ে দেবে অজানা তথ্য। বলে দেবে আপনার শরীরে কোনো জটিল রোগ বাসা বেঁধে আছে কি না। চলুন জেনে নিই কোন ধরনের পিরিয়ডের রং কোন কোন সমস্যা নির্ণয় করে।
গাঢ় লাল ক্লট
পিরিয়ডের রং যদি গাঢ় লাল ক্লট হয়, তাহলে বুঝতে হবে আপনার শরীরে প্রজেস্টরন হরমোনের ক্ষরণ মারাত্মক কমে গেছে। কল্ট ছোট আকারের হলে খুব একটা ভয় নেই। কিন্তু কল্ট বড় হলে বুঝতে হবে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য একদম ঠিক নেই। এমনটা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ক্র্যানবেরির মতো লাল
ক্র্যানবেরি জুসের মতো লাল রং স্বাভাবিক অবস্থা নির্দেশ করে। এটা একদম পিরিয়ডের যথার্থ অবস্থা। রক্তের রং যদি উজ্জ্বল লাল রঙের হয় তাহলে বুঝতে হবে শরীরে কোনো সমস্যা নেই।
হালকা লাল
পিরিয়ডের সময় রক্তের রং খুব হালকা হলে বুঝতে হবে এটি অপুষ্টি ও অ্যানিমিয়ার লক্ষণ। এ ছাড়া অন্য অনেক রোগেরও ইঙ্গিত দেয় এটি।
ধূসর লাল
কোন সেক্সচুয়াল ট্রান্সমিটেড অসুখে আক্রান্ত হলে সাধারণত রক্তের রং ধূসর হয়ে যায়। সেই সঙ্গে রক্ত থেকে বাজে গন্ধও বের হয়।
পানির মতো রং হলে
রক্তের রং একদম হালকা পানির মতো হলে বুঝতে হবে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি রয়েছে। দীর্ঘস্থায়ী অ্যানিমিয়ায় আক্রান্ত হলে মূলত পিরিয়ডের রং এমন হয়। তাই পরপর ২ থেকে ৩ বারের বেশি এমন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
গোলাপি রং হলে
শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা খুব কমে গেলে পিরিয়ডের রং হালকা গোলাপি হয়। সেই ক্ষেত্রে অস্টিওপোরোসিসে আক্রান্ত হ্ওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই খেয়াল রাখতে হবে এই বিষয়ে।
কালো খয়েরি রং
রক্তের রং কালো খয়েরি হলে বুঝে নিতে হবে শরীরে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বেশি রয়েছে। যার ফলে শরীরের ইউটেরাইনের লাইনিং বেশ মোটা হয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে রক্তপাত বেশি হতে পারে। তাই সাবধান থাকাটা খুব জরুরি।
কমলা লাল বা হলদেটে রং
কোনো নারীর যদি সার্ভাইক্যাল বা ভ্যাজাইনাল ইনফেকশন থেকে থাকে তাহলে পিরিয়ডের রং কমলা লাল বা হলদেটে রং হতে পারে। তাই পিরিয়ডের রং কমলা লাল রঙের হলে সাবধানতা অবলম্বন করুন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।