গর্ভধারণের সময়টি প্রত্যেক নারীর জন্য আনন্দময়। কিন্তু আনন্দের পাশাপাশি প্রত্যেক নারীকে এই সময়টাতে থাকতে হয় একটু বেশি সতর্ক। একটি ভুল বা অসতর্কতায় সৃষ্টি হতে পারে বড় সমস্যা। ঘটে যেতে পারে যেকোনও অনাকাঙক্ষিত ঘটনা।
গর্ভকালীন অবস্থায় মাকে অনেক ধরনের পুষ্টিকর খাবার খেতে হয়। আবার কিছু খাবার এড়িয়েও যেতে হয়। অনাগত সন্তানের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে চিকিতসকও কিছু খাবারে নিষেধাজ্ঞা দেন। পরিবারের বড়রাও দেন নানা পরামর্শ। সবদিক মাথায় রেখেই গর্ভকালীন খাবারের তালিকায় যুক্ত করতে হয় খাবার। আর বাদ দিতে হয় ক্ষতিকর খাবারগুলো। অনেকেরই অজানা এই খাবারগুলো কি কি হতে পারে। ক্ষতিকর এমন খাবার নিয়েই জানাবো আজকের আয়োজনে।
আনারস
আনারস অনেক সময় ডেলিভারির প্রক্রিয়াকে সহজ ও দ্রুত করার জন্য ব্যবহার করা হয়। তবে গর্ভধারনের প্রথম তিন মাস আনারস খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। কারণ এতে থাকা উপাদান গর্ভপাত ঘটায়। তাই চিকিৎসকরা বলেন,গর্ভধারনের পুরো সময়টা আনারস না খাওয়ার চেষ্টা করুন।
পেঁপে
বিশেষ করে কাঁচা পেপে গর্ভপাতের জন্য দায়ী অন্যতম একটি খাবার হিসেবে গণ্য করা হয়। কাঁচা পেপেতে ল্যাকট্রিক্স নামক একটি উপাদান আছে যা গর্ভপাতের মতো দুর্ঘটনাও ঘটায়।
অঙ্কুরিত আলু
অঙ্কুরিত আলু শুধু গর্ভকালীন নারীদের জন্য নয়, সবার জন্যই এটি ক্ষতিকর। আলু যখন অঙ্কুরিত হয় এতে নানান বিষাক্ত পদার্থ দেখা দেয়। যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। সবুজ অঙ্কুরে সোলানিন নামক উপাদান রয়েছে, যা ভ্রুণ বৃদ্ধিতে বাঁধা প্রদান করে।
কলিজা
কলিজা পুষ্টিকর ও মজাদার একটি খাবার। কিন্তু এই কলিজা গর্ভপাতেরও কারণ। যদি কোনও অসুস্থ প্রাণীর কলিজা হয় তবে গর্ভপাতের আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই কলিজা খাওয়ার সময় কিছুটা সতর্ক থাকা উচিত। যদি কোন সন্দেহ থেকে থাকে তাহলে গর্ভকালীন অবস্থায় পুরোপুরি কলিজা খাওয়া থেকে বিরত থাকাই ভালো।
ধনেপাতা
ধনেপাতা অনেকের বেশ পছন্দ। কিন্তু গর্ভকালীন এই খাবারটি এড়িয়ে চলুন। এমনকি ধনেপাতার জুস গর্ভধারণ হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। এটি পেটে গ্যাস সৃষ্টি করে। পেটে ফাপা ভাব হয়।
তিল
গর্ভধারণের পুরো সময়টা তিল বা তিল জাতীয় খাবার কম খাওয়া উচিত। বিশেষ করে তিল মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া খুব ক্ষতিকর। এটি স্বতস্ফুর্ত গর্ভপাত ঘটিয়ে থাকে।
অ্যালোভেরা জেল
অ্যালোভেরা জেল নারীর ত্বক, চুল ও হজমের জন্য বেশ উপকারি। তবে গর্ভকালীন অবস্থায় অ্যালোভেরা জুস খাওয়া উচিত নয়। এটি গর্ভপাতের অন্যতম কারণ। মনে রাখবেন, ওজন নিয়ন্ত্রণের খাবার বাছাইয়ে এই সময়টাতে সতর্ক থাকতে হবে।