১৪তম অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে বিশেষ ভার্চুয়াল ওয়েবিনার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ হেলথ প্রফেশন ইনস্টিটিউটের (বিএইচপিআই) স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি বিভাগ (সিআরপি)।
১৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সিআরপির সোস্যাইটি অব স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি সিস্টেমে এ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুর ব্যবস্থাপনায় স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপির গুরুত্ববিষয়ক বিশেষ এই অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন সিআরপি'র জুনিয়ার কনসালটেন্ট তাহমীনা সুলতানা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সমাজকল্যান মন্ত্রণালয়ের নিউরোডেভেলপমেন্ট প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. গোলাম রব্বানি। বিশেষ অতিথি ছিলেন সোস্যাইটি অব স্পিচ অ্যান্ড ল্যাংগুয়েজ থেরাপিস্টসের প্রেসিডেন্ট ফিতা আল সামস।
এছাড়া অন্য অতিথিদের মধ্যে ছিলেন সিআরপি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাহিদ পারভেজ, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ওর আলী সরকার, অধ্যক্ষ বাংলাদেশ হেলথ প্রফেশন ইনস্টিটিউট (বিএইচপিআই) এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব ইকোনমিকসের চেয়ারপারসন ও সহকারী অধ্যাপক ড. আসাদ করিম খান প্রিয়।
অনুষ্ঠানে অটিজম শিশুর ব্যবস্থাপনায় স্পিচ এন্ড ল্যাংগুয়েজ থেরাপির গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো উপস্থাপন করেন গোলাম রব্বানি। পাশাপাশি শিশুর যত্নে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায় থেকে গৃহিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের প্রসঙ্গেও আলোচনা করেন।
সেই সঙ্গে সমাজকল্যান মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্টের বিভিন্ন কর্মসূচি পালন ও ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের সাফল্যের দিকগুলো তুলে ধরে আগামীতেও এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার কথা জানান গোলাম রব্বানি।
অটিজমবিষয়ক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের প্রাসঙ্গিক পরিসংখ্যান তুলে ধরেন সিআরপি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাহিদ পারভেজ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত স্পিচ থেরাপিস্ট দ্বারা বিশেষ শিশুদের স্পিচ এন্ড ল্যাংগুয়েজ থেরাপি নিশ্চিত করার বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন ফিতা আল সামস।
অটিজম শিশুর নিরীক্ষণ ও চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করেন ড. আসাদ করিম খান প্রিয়। এ সময় তিনি অটিজম শিশুর বয়সভিত্তিক আচরণগত বৈশিষ্ট্য ও লক্ষণসমূহ শনাক্ত করার প্রসঙ্গেও বিস্তারিত আলোচনা করেন। পাশাপাশি দক্ষ থেরাপিস্ট ও চিকিৎসক দ্বারা বিশেষ শিশুর পরিচর্চা নিশ্চিত করার বিষয়ে বিভিন্ন বাস্তবিক দিক তুলে ধরেন।
বিশেষ শিশুদের সর্বোচ্চ সেবা ও পরিচর্যা নিশ্চিত করার পাশাপাশি তাদের ক্যারিয়ারের প্রতি গুরুত্ব আরোপে অটিস্টিক অভিভাবকদের সবার প্রতি আহ্বানও জানান ড. আসাদ করিম খান।
বিশেষ এ আয়োজনের মিডিয়া পার্টনার ছিল দৈনিক ইত্তেফাক ও পাক্ষিক অনন্যা।