ইফতারের পর হঠাৎ মাথাব্যথা, প্রায় প্রতিদিনই হচ্ছে। কিন্তু কেন হচ্ছে তা না জেনেই ইফতার করেই ওষুধ খেয়ে নিচ্ছেন। এতে হিতের বিপরীতটাই হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধরা বলেন, ইফতার ও সাহরির মাঝামাঝি সময়ে অস্বাস্থ্যকর খাবার, অপর্যাপ্ত পানি এবং ঘুমের অভাবেই এমনটা হয়। তবে মাথাব্যথায় ওষুধ না খেয়ে প্রতিদিনের অভ্যাসের পরিবর্তন আনার সুপারিশ করেছেন।
চিকিৎসকরা রোজার সময় মাথাব্যথা হওয়ার কয়েকটি কারণকে সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করেছেন। যা এড়িয়ে চললে সহজেই রোজার সময় এই বিরক্তিকর মাথাব্যথা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। রোজার সময় মাথাব্যথার সম্ভাব্য এই কারণগুলো জানাব আজকের আয়োজনে।
পানিশূণ্যতা
গরমে রোজা রাখছেন। দীর্ঘ সময় পানি না খাওয়ার কারণে শরীরে পানিশূণ্যতা দেখা দেয়। তাই ইফতারের পরের সময়টা ও সাহরির সময় পর্যাপ্ত পানি খেয়ে নিতে হয়। তরল জাতীয় খাবার ও রসালো ফলমূল খাওয়ার চেষ্টা করুন।
পেট খালি থাকে
রোজার সময়ে সাহরি ও ইফতারের মাঝে দীর্ঘ বিরতি থাকে। এতে শরীরে ক্যালরির ঘাটতি দেখা দেয়। শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। এতে মাথাব্যথা হতে পারে। এজন্য় ইফতারে ফলমূল খাওয়ার অভ্যাস করুন। যা রক্তের শর্করা ও কার্বোহাইড্রেইট সরবরাহ করবে।
ইফতারে অতিরিক্ত খাওয়া
দীর্ঘ সময় পেট খালি থাকার পর ইফতারে অনেকে অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন। অতিরিক্ত খেলে বা দ্রুত খাওয়ার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যায়। এতে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচলের মাত্রাও বাড়ে। এরপরই শুরু হয় মাথাব্যথা।
ঘুম না হওয়া
রমজান মাসে স্বাভাবিক রুটিনের ব্যাঘাত ঘটে। অনেকে সাহরি খেয়ে ঘুমান। সকালেই অফিস কিংবা অন্য কাজের জন্য় উঠে যেতে হয়। এতে ঘুমের ঘাটতি হয়। ৮ ঘণ্টার পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়ায় মাথাব্যথা করে বা মাথা ঘুরায়।
সঠিক সময়ে সাহরি না করা
অনেকে সাহরি না করে রোজা রাখেন। এটা মোটেও ঠিক নয়। দিনে অনেকটা সময় পেট খালি থাকে ফলে শরীরে পুষ্টি ও ক্যালরি ঘাটতি হয়। তাই সাহরি না খেয়ে রোজা রাখা যাবে না। প্রয়োজনে ভাত না খেয়ে পুষ্টিকর খাবার খেতে পারেন। আঁশ সমৃদ্ধ খাবার খাবেন। যা হজম ধীর হবে ও পুষ্টি সরবরাহ করবে। তবে যথাসময়ে সাহরিতেই খাবার খাবেন। না হলে মাথাব্যথায় পুরো দিনটি আপনার নষ্ট হবে।
বাইরে বের হলে
প্রচণ্ড গরম, এর মধ্যেই রোজা রাখতে হচ্ছে। গরমে রোজা রেখে বাইরে গেলে রোদের তাপে মাথাব্যথা হতে পারে। তাই ছাতা বা মাথায় কাপড় দিয়ে বাইরে যাওয়া ভালো। খুব প্রয়োজন না হলে অযথা না বের হওয়াই উত্তম।
ভারী পরিশ্রম
রোজা রেখে ভারী পরিশ্রমের কাজগুলো এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। এছাড়া শারীরিক ব্যয়াম করলেও কিছুক্ষণ পর মাথাব্যথা হতে পারে। তাই ইফতারের পর হালকা ব্যয়াম করতে পারেন।