করোনার প্রথম ধাপে সংক্রমণ শুধু বড়দের মধ্যেই বেশি ছিল। কম ঝুঁকিতে ছিল শিশুরা। কিন্তু দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণের সমান ঝুঁকিতে রয়েছে শিশুরাও। তৃতীয় দফা করোনা আক্রমণ করলে ঝুঁকি আরও কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।
শিশুদেরকে ঝুকিমুক্ত রাখতে এখনই সচেতন হওয়ার পরামর্শ স্বাস্থ্যবিদদের। পরিবারকে শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া কথা জানিয়েছেন তারা। এরজন্য শিশুকে গৃহবন্দি না করে নিরাপদ স্থানে খেলাধুলার ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন।
স্বাস্থ্যবিদদের মতে, শিশুর মানসিক ও শারীরিক বিকাশে খেলাধুলার বিকল্প নেই। অনেক বাবা-মা সন্তানদের করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে মাল্টিভিটামিন বা জিঙ্ক ট্যাবলেট খাওয়ান। এতে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে, কিন্তু শিশুদের জন্য এই ধরনের ‘সাপ্লিমেন্ট’ কি আদৌ নিরাপদ নয়। বিশেষ করে ৫ বছরের নিচে যাদের বয়স, তাদের বড় ক্ষতি হতে পারে এই ধরনের ট্যাবলেট সেবনে।
চিকিৎসকরা জানান, শিশুদের রোগ প্রতিরোধ শক্তি প্রতিদিনের খাবার থেকেই পাচ্ছে। আলাদা ভিটামিন ট্যাবলেট খাওয়ানোর দরকার হয় না। বরং এই ট্যাবলেট সেবনে শিশুদের আর্থারাইটিস বা হাড়ের নানা রোগ হতে পারে। এছাড়াও মুখের ঘা, চোখের সমস্যা, পেশির ব্যথাসহ নানা রোগ দেখা দিবে শিশুর শরীরে। এমনকি শিশুর বৃদ্ধিও বন্ধ হয়ে যায় এই ধরনের মাল্টিভিটামিন সেবনে।
তাই উপায় হলো মাল্টিভিটামিন নয়, শিশুদের পুষ্টিকর খাবার ও খেলাধুলায় বেশি নজর দিতে হবে। সামাজিক দূরত্ব মেনে শিশুদের খেলাধুলো করতে দিলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকাংশে বেড়ে যাবে।