সন্তানের ভবিষ্যত সুন্দর করতে প্রতিটি বাবা মা অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। সন্তানদের বুদ্ধি, চিন্তা শক্তি বাড়াতে প্রতি মুহূর্ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। উন্নত স্কুলে পড়ানো, ভালো শিক্ষকের কাছে টিউশন, রুচিশীল ও বুদ্ধিমত্তার বিকাশে বিভিন্ন টিউটোরিয়াল ও ভিডিও দেখানো, সৃজনশীল কাজে উদ্ধুদ্ধ করা কতই না চেষ্টা। যা শিশুর শৈশব থেকেই শুরু হয়। তাই শৈশবের প্রতিটি মুহূর্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শিশুরা এখন যন্ত্রের মতো ছুটে চলে। তবে প্রকৃত শিক্ষা কতটুকু পাচ্ছে? মূলত এই যান্ত্রিক জীবনে একটা শিশুকে শিক্ষিত করার পাশাপাশি তার অন্তরের সত্ত্বাকে বিকশিত করার প্রতিযোগিতা কিন্তু সহজ নয়।
কম্পিউটার শেখানো অথবা উচ্চশিক্ষিত করতে কোডিং শেখানোর স্কুলে ভর্তি, এই প্রথাগত শিক্ষায় শিশুদের মানসিক বিকাশে তেমন কোনও লাভ হয় না। কোডিং গণিতের উপর নির্ভর, কিন্তু এর থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা শিশুদের মস্তিষ্কে তেমন ইতিবাচক প্রভাব ফেলে না। মানে এতে শুধু কোডিং শিখতে পারে কিন্তু গণিত বিদ্যায় পারদর্শী হতে পারে না।
নতুন এক গবেষণায় বলা হয়, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিশুদের বুদ্ধির খুব একটা বিকাশ হয় না। বরং ছোট থেকেই যদি সন্তানকে বুদ্ধিদীপ্ত করতে হয় তবে সঙ্গীত শিক্ষার জন্য কোনও প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করানো উচিত।
গবেষণায় শিশুদের উপর পরীক্ষা চালানো হয়। যারা ছোট থেকে সঙ্গীত শিখেছেন তাদের এবং যারা শেখেনি তাদেরকে নিয়ে দুইটি দলে ভাগ করে পরীক্ষাটি করা হয়। এ সময় শিশুদের মস্তিষ্ক স্ক্যান করে দেখা হয়। সেখানেই প্রমাণিত হয়, যারা ছোট থেকে সঙ্গীত শিক্ষা নিয়েছে তাদের মস্তিষ্ক অনেক বেশি বিকশিত। মস্তিষ্কে যে অংশটি শব্দ শুনে সাড়া দেয় সে অংশগুলো যথেষ্ট সজাগ ও সজীব রয়েছে শিশুদের।
গবেষকরা বলছেন, সঙ্গীত একাগ্রতা ও সাধনার ফল। তাই সঙ্গীত শিখলে শিশুর মধ্যে একাগ্রতা এবং ধৈর্য আসে। সংবেদনশীলতা তৈরি হয়। সঙ্গীত ছেড়ে দিলেও তাদের মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকে। তাদের বিচক্ষণতাও অনেক বেশি হয়।