করোনা মহামারিতে নারী-পুরুষ সবাইকেই টিকার আওতায় আনা হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আগে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদেরও টিকা দেওয়া হবে। এ ছাড়া সামনের সারির যোদ্ধারা ডাক্তার-নার্সও টিকা নিয়েছেন।
টিকা গ্রহণে নারীদের মনে বেশ কিছু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। অনেকেরই শঙ্কা, পিরিয়ডের সময় কি টিকা নেওয়া যায় বা টিকা নিলে কী সমস্যা তৈরি হতে পারে শরীরে। এমন প্রশ্নের উত্তরে চিকিৎসকরা বলেন, “পিরিয়ডের সময় টিকা নেওয়া মোটেও উচিত নয়। তাদের পরামর্শ, নারীরা টিকা নেওয়ার আগে পিরিয়ডের দিনক্ষণ মনে রাখবেন। পিরিয়ডের ৫ দিন আগে বা পরে টিকা নেওয়া যাবে না। এ সময়টা নারীদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই কম থাকে।”
এই তথ্যের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছ সংবাদ সংস্থা আইএএনএস লাইফ। প্রতিবেদনে নয়ডার মাদারহুড হসপিটালের গাইনোকলজিস্ট মঞ্জু গুপ্তার বলেন, “করোনা টিকা শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য দেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে শরীরের ওপর এই টিকা কীভাবে উল্টো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে, তা বুঝতে পারছি না।”
“এই দাবির কোনো বিজ্ঞানসম্মত ভিত্তি নেই। যা বুঝিয়ে দিতে পারে, টিকা নেওয়ার ফলে ঋতুচক্রে পরিবর্তন দেখা যাবে।”
টিকা নিয়ে এমন গুজবে কান না দেওয়া পরামর্শ দিয়েছেন ভারতের লীলাবতী হসপিটালের গাইনোকলজিস্ট নন্দিতা পালশেতকর। তিনি বলেন, “ঋতুচক্রের সঙ্গে কোভিড টিকাকরণের কোনো যোগ নেই। টিকায় নারীরা উপকৃত হবেন। ঋতুচক্রের সময়ও সুযোগ পেলে এই টিকা নেওয়া উচিত। ঋতুকালে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতার সঙ্গে ভ্যাকসিনের কোনো যোগ নেই।”
নিউইয়র্ক টাইমসে এক প্রতিবেদনেও ইয়েল স্কুল অব মেডিসিনের অ্যালিস লু কুলিগান ও হাটার এপস্টেইন জানান, পিরিয়ডের সঙ্গে কোভিড টিকাকরণের কোনো যোগ নেই। এ রকম কোনো তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।
তারা বলেন, “যদি এ ধরনের দাবি সত্যি হয়, তাহলেও চিন্তা করার কিছু নেই। কারণ, কোনো নারীর একবার অস্বাভাবিক পিরিয়ড হলে সমস্যার কিছু নেই।”