৭ জুন সোমবার, বিশ্ব খাদ্য সুরক্ষা দিবস। খাদ্যের সুরক্ষায় জনগণের সচেতনতা বাড়াতেই বিশ্বব্যাপী এই দিনটি পালন করা হয়। সঠিক খাদ্য উৎপাদন, খাদ্যশৃঙ্খলের প্রতি পর্যায় ঠিক রাখা, খাদ্যের প্রক্রিয়াকরণ, মজুত সুনিশ্চিত করতে বিশ্ব খাদ্য সুরক্ষা দিবসের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।
এ বছর বিশ্ব খাদ্য সুরক্ষা দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘ভবিষ্যৎ স্বাস্থ্য সুরক্ষায় চাই নিরাপদ খাবার’ বা ‘Safe food now for a healthy tomorrow’। করোনা মহামারির জেরে খাদ্য সুরক্ষার বিষয়টি আরও গুরুত্ব পেয়েছে। মানুষ, প্রাণী, গাছপালা, পরিবেশ এবং অর্থনীতির মধ্যে সংযোগগুলো সমন্বয় করাই ভবিষ্যতের চাহিদা মেটাতে সহায়তা করবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও দিবসটি এ বছর পালন করছে। তাদের মতে, দিবসটি পালনের লক্ষ্য হলো খাদ্য নিরাপত্তা, মানব স্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, কৃষি, বাজারে অবদান, খাদ্যজনিত ঝুঁকি রোধ, শনাক্তকরণ, পদক্ষেপ গ্রহণ করে সুদূরপ্রসারী উন্নয়নের ব্যবস্থা করা।
২০১৮ সালে বিশ্ব খাদ্য সুরক্ষা দিবসের ঘোষণা দেয় রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদ। নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশের জনগণের ওপর খাদ্যজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করে আন্তর্জাতিক এই সংস্থা।
সংস্থাটি জানায়, ৫ বছরের নিচে শিশুদের ওপর প্রভাব খাদ্যজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব ব্যাপকভাবে লক্ষ্য করে যায়। তাই খাদ্যের অভাবে রোগ এবং খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রতিবছর দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শুধু খাদ্যের সংকট দূর করাই নয়, সঠিক খাদ্যে সুস্বাস্থ্য গড়ে তোলার বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সংস্থাটির মতে, ভেজাল খাবার খেয়েই বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর প্রায় ৪ লাখ ২০ হাজার মানুষ বিভিন্ন রোগে সংক্রমিত হয়। এদের মধ্যে ৪০ শতাংশই রয়েছে ৫ বছরের নিচে শিশুরা। সে অনুযায়ী সারা বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার শিশু ভেজাল খাবার খেয়ে মারা যায়।
সঠিক খাদ্য উৎপাদন এবং করোনা পরিস্থিতিতে উদ্ভিদ ও প্রাণিজগতের মধ্যে খাদ্যশৃঙ্খল বজায় রাখতে ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে এই দিবসটির গুরুত্ব অপরিসীম।