নবজাতক শিশুর শারীরিক পুষ্টি মেটাতে মাতৃ দুগ্ধের কোনো বিকল্প নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুদের অপুষ্টিজনিত শারীরিক সমস্যা দূর করতে ও শরীরের রোগপ্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতে প্রয়োজন হলুদ দুধের, যা শিশুর জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যে মায়ের স্তন থেকে নির্গত হয়।
মায়ের হলদে রঙের নির্গত দুগ্ধই সর্বাধিক পুষ্টিগুণসম্পন্ন বলে জানান পুষ্টিবিদরা। অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের বাঁচাতে এই দুধ অপরিহার্য!
সম্প্রতি এই হলুদ দুধের বিকল্প হিসেবে বিজ্ঞানসম্মতভাবে কৃত্রিম উপায়ে ল্যাবে তৈরি করা হচ্ছে ‘মাতৃদুগ্ধ’।
জিনিউজ জানান, বায়োমিল্ক নামের একটি স্টার্ট আপ সংস্থার ল্যাবের গবেষকরা কৃত্রিম উপায়ে ‘মাতৃদুগ্ধ’ উৎপাদন করছেন। এতে তারা সফলও হয়েছেন। অধিকাংশ নারী কর্মচারী দিয়ে পরিচালিত হয় এই সংস্থাটি। এর ল্যাবে উৎপাদিত দুধকে অনেকাংশেই মায়ের দুগ্ধের বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করছেন বিজ্ঞানীরা।
গবেষকরা জানায়, নারীদের স্তনের কোষগুলোর মাধ্যমে এই দুগ্ধ ল্যাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। মায়ের দুগ্ধের সমতুল্য সব পুষ্টিকর উপাদানই কৃত্রিম এই দুগ্ধে পাওয়া যাবে। সব ধরনের প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাটি অ্যাসিড এবং বায়ো-অ্যাকটিভ লিপিড পাওয়া যাবে এই দুগ্ধে।
তবে এই দুধে মাতৃদুগ্ধের মতো অ্যান্টিবডি থাকছে না বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
শিশুর স্বাস্থ্যের প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও বিকাশে বিষয়গুলো নজর রেখে কৃত্রিম এই দুগ্ধ তৈরি করা হয়েছে বলে জানায় সংস্থাটি। তাদের দাবি, এটি বেশ উৎকৃষ্ট মানের। মানুষের দুধের সঙ্গে মিল রেখে প্রস্তুত হয়েছে। তাই এটি অন্যান্য পানীয়ের চেয়ে শিশুর অন্ত্র ওমস্তিষ্কের বিকাশে বেশি কার্যকর।