ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে হংকংয়ের প্রত্যর্পণ বিলটি সাময়িকভাবে স্থগিত করা হলেও তা সম্পূর্ণ বাতিলের দাবিতে ফের রাজপথে নেমেছে দেশটির বিক্ষুব্ধ জনগণ। এর আগে দেশের লাখো জনতার সামনে ক্ষমা চেয়েও এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি শান্ত করতে পারেননি চীনপন্থি শাসক ক্যারি ল্যাম।
এদিকে আন্দোলনের দ্বিতীয় দফায় শনিবার (২২ জুন) আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায় যে, বিলটি পুরোপুরি বাতিল করা ও ক্যারি ল্যামের পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা হংকং শহর। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা হংকং পুলিশের সদর দপ্তর ঘেরা করেছে বলে জানা যায়।
খবরের তথ্য মতে, প্রশাসনের কর্মকর্তারা তাদের শান্তিপূর্ণভাবে স্থান ত্যাগের আহ্বান জানায় কিন্তু। পুলিশ বলছে, বিক্ষোভকারীদের উপস্থিতির কারণে জরুরি সেবা প্রদান 'মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত' হচ্ছে। যে কারণে অবিলম্বে তাদের গুরুত্বপূর্ণ এই স্থানটি ছেড়ে যেতে হবে।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে চীন সমর্থিত হংকংয়ের প্রত্যর্পন বিলটির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করে দেশটির লাখ লাখ জনগণ। আন্দোলনের প্রথম দফায় পুলিশের সঙ্গে প্রতিবাদকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। যদিও পরবর্তীতে জনগণের চাপের মুখে বিলটি সাময়িক স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেন ক্যারি ল্যাম সরকার। এদিকে সমালোচকদের দাবি, চীনপন্থি প্রত্যর্পন বিলটি পাস হলে তা হংকংয়ের বিচারিক স্বাধীনতাকে খর্ব করবে।
এমন পরিস্থিতিতে চীনের অন্তর্গত স্বশাসিত ভূখণ্ডে গণতন্ত্রপন্থিদের চলমান এই বিক্ষোভের ফলে ল্যামকে তার গদি হারাতেও হতে পারে বলে ধারণা করছেন দেশটির রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। যে কারণে প্রতিবাদীদের এই ক্ষোভ প্রশমনের বিভিন্ন দিক খোঁজায় ব্যস্ত হয়ে উঠেছে হংকং সরকার।
এসকে