যজ্ঞ ও উলঙ্গ নৃত্য

আসামে তিন বছরের শিশুকে বলির চেষ্টা, তান্ত্রিক গ্রেফতার

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ৯, ২০১৯, ০৪:৩৪ পিএম আসামে তিন বছরের শিশুকে বলির চেষ্টা, তান্ত্রিক গ্রেফতার

একুশ শতকেও মধ্যযুগীয় বর্বরতার চিত্র দেখা আসামের ওদালগুড়িতে। শিক্ষকের পরিবারের তিন বছরের শিশুকে বলি দেওয়ার নৃশংস প্রস্তুতির বে-নজির সাক্ষী হল আসাম। তান্ত্রিকের নির্দেশে শিশুবলির প্রস্তুতির শেষ পর্যায়ে হাঁড়িকাঠে সন্তানের গলা কাটতে শান দেওয়া হচ্ছে খড়গে। তারস্বরে চলছে মন্ত্রোচ্চারণ, যজ্ঞ। যজ্ঞের আগুনের শিখা ঘিরে চলছে পরিবারের উন্মত্ত উলঙ্গ নৃত্য। বর্বরোচিত এই ঘটনা আটকানোর চেষ্টা করে ওদালগুড়ি জেলার গণকপাড়া গ্রামের প্রতিবেশীরা। অভিযোগ, উলটে তাঁদের দিকেই ধারালো অস্ত্র নিয়ে ছুটে আসেন পরিবারের সদস্যরা। এই উন্মত্ত তান্ডব আটকাতে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয় বাসিন্দারা। শেষে পুলিশের গুলিতে থামে এই নৃশংস হত্যার চেষ্টা।

এদিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এবং আধা সামরিক বাহিনী এসে পরিবারের সকলকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু কাজ না হওয়ায় প্রথমে পুলিশ লাঠিচার্য করে এবং পাঁচ রাউন্ড গুলিও চালায়। পুলিশের গুলিতে জখম হন গৃহকর্তা যাদব চাহারিয়া এবং তার ছেলে। পুলিশ এবং স্থানীয় মানুষের তৎপরতায় নিরাপদে বের করে আনা হয় তিন বছরের শিশুটিকে। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় ভণ্ড তান্ত্রিককেও।

কিন্তু একুশ শতকে দাঁড়িয়ে কীভাবে একজন শিক্ষক এবং তার পরিবারকে কুসংস্কারাচ্ছন্নে আবিষ্ট করল এই তান্ত্রিক সেখানেই উঠছে প্রশ্ন। কীভাবেই বা দিনের দিনের পর দিন ধরে সম্মোহিত করে রাখলেন এই পরিবারকে? জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এই ঘটনাকে ঘিরেই তীব্র চাঞ্চল্য এখন পুরো এলাকায়।

সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

এসজেড