এবার ইরানি ড্রোন ভূপাতিত করলো যুক্তরাষ্ট্র

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ১৯, ২০১৯, ০২:৫৫ পিএম এবার ইরানি ড্রোন ভূপাতিত করলো যুক্তরাষ্ট্র

 

পারস্য উপসাগরের চলমান উত্তেজনার মাঝেই হরমুজ প্রণালিতে মার্কিন মেরিন সেনারা ইরানের একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ড্রোন ভূপাতিত করেছে বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) ‘'ইউএসএস বক্সার’ নামে উভচর একটি যুদ্ধজাহাজ থেকে গুলি করে ইরানের সেই ড্রোনটি ভূপাতিত করা হয়।

শুক্রবার (১৯ জুলাই) হোয়াইট হাউসে দেয়া এক বক্তব্যে ট্রাম্প জানান, বৃহস্পতিবার ইরানের একটি ড্রোন আন্তর্জাতিক জলসীমায় অবস্থানরত মার্কিন যুদ্ধজাহাজের অনেক কাছে চলে আসায় রক্ষণাত্মক কারণেই সেটিকে ভূপাতিত করা হয়। ড্রোনটি জাহাজের কাছ থেকে মাত্র এক হাজার মিটার দূরে ছিল বলে দাবি ট্রাম্পের।

প্রেসিডেন্ট তার বক্তব্যে বলেন, “আজ আপনাদের হরমুজ প্রণালিতে অবস্থানরত মার্কিন উভচর জাহাজ ‘ইউএসএস বক্সার’ সংক্রান্ত একটি ঘটনা জানাব। ইরানের একটি ড্রোন একাধিক সতর্ক বার্তা দেওয়া সত্ত্বেও বক্সারের খুব কাছে চলে আসে। প্রায় এক হাজার মিটার দূরত্বে চলে আসায় জাহাজ ও ক্রুদের নিরাপত্তার স্বার্থে এটিকে গুলি করে ধ্বংস করা হয়। এই হলো আন্তর্জাতিক সমুদ্র সীমায় জলযান চলাচলে তেহরানের একের পর এক বৈরী আচরণের সাম্প্রতিকতম নমুনা। নিজেদের যেকোনো স্বার্থে ও জানমাল রক্ষার অধিকার যুক্তরাষ্ট্রের আছে। তাই আমরা এসব ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ছাড় দিব না।”

এ দিকে ইরান দাবি করেছে, নিজেদের কোনো ড্রোন নিখোঁজ হয়েছে বলে কোনো তথ্য তাদের হাতে নেই। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে বলেন, ‘কোনো ড্রোন খোয়া যাওয়ার তথ্য তার কাছে আসেনি।’

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান সামরিক ঘাঁটি পেন্টাগনের প্রধান মুখপাত্র জনাথন হফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, চালকবিহীন ড্রোনটি রণতরী ইউএসএস বক্সারের নিরাপদ দূরত্বসীমা লঙ্ঘন করলে রণতরী এবং এর নাবিকদের নিরাপত্তার খাতিরে সেটিকে ভূপাতিত করা হয়। তবে কিভাবে তা করা হয়েছে এব্যাপারে কোন তথ্য বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়নি।

তবে সিএনএন এর তথ্য মতে, গুলিকরে নয় বরং ড্রোনটির যান্ত্রিক ব্যবস্থা নিষ্ক্রিয়কররণের মাধ্যমে সেটিকে নামিয়ে আনা হয়। বাস্তবতা যাই হোক, এমন একটি খবর যে উপসাগরীয় অঞ্চলে চলমান উত্তেজনাকে আরেকটু তাতিয়ে দেবে তা বলাই যায়।

সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান, সিএনএন

এসকে/এসজেড

আরও সংবাদ