উত্তর কোরিয়ার সদ্য সমাপ্ত স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। রোববার (২১ জুলাই) ব্যাপক নিরাপত্তায় দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে প্রায় শতভাগ ভোট পড়েছে বলে দাবি দেশটির নির্বাচন কর্মকর্তাদের। নির্বাচনগুলোয় অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মধ্যে তেমন কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকলেও এটি মূলত দেশটির একটি রাজনৈতিক রীতি। এসব নির্বাচনের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ নিজেদের জনপ্রিয়তা মাত্রা যাচাই করে বলে দাবি বিশ্লেষকদের।
নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের মতে, দেশটির সদ্য সমাপ্ত স্থানীয় নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৯৯.৯৮ শতাংশ। যা ২০১৫ সালের নির্বাচনের চেয়ে ০.০১ শতাংশ বেশি। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ‘কেসিএনএ’- এপ্রকাশিত খবরে বলা হয়, এবার নির্বাচনের সময় যারা বিদেশ সফরে রয়েছেন এবং যারা সমুদ্রে কাজ করছেন কেবল মাত্র তারাই এতে ভোট দিতে পারেননি। তবে যারা বার্ধক্য অথবা অসুস্থতার কারণে কেন্দ্রে যেতে পারেননি তারাও মোবাইল ব্যালট বক্সের মাধ্যমে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে বিচ্ছিন্ন এই দেশটির প্রাদেশিক, নগর ও কাউন্টি প্রতিনিধি নির্বাচনে প্রতি চার বছর পর ভোটের আয়োজন করা হয়। কার্যত এক দলীয় রাষ্ট্রটির ৯৯ শতাংশ ভোটার এসব নির্বাচনে অংশ নেন; যেখানে তারা নিজেদের একক প্রার্থীর পক্ষে ‘হ্যা’ ভোট প্রদান করেন।
বার্তা সংস্থা ‘কেসিএনএ’ জানায়, রোববার সকালে প্রেসিডেন্ট কিম নর্থ হামগিয়ং প্রদেশে একটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি অঞ্চলটির কাউন্টি পরিষদ পরিচালনায় জু সং এবং জং সং সিক নামে দুই প্রার্থীর প্রতি নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ভোট প্রদান শেষে কিম প্রার্থীদের প্রতি নিজ নিজ দায়িত্ব পুরোপুরি পালনের মাধ্যমে জনগণের আরও বিশ্বাসী সেবক হিসেবে নিজেদের গড়ে উঠতে আহ্বান জানান।
২০১৪ সালে উত্তর কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত সুপ্রিম পিপলস অ্যাসেম্বলি হিসেবে পরিচিত রাবার-স্ট্যাম্প আইনসভার নির্বাচনে কিম নিজেই ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। যেখানে তিনি নিজের পক্ষে শতভাগ ভোট নিশ্চিত করতে সক্ষম হন। এর আগে চলতি বছরের মার্চে দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে একক প্রার্থীর জাতীয় নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৯৯.৯৯ শতাংশ।
সূত্র : এএফপি
এসজেড