ভারতে ৩ বছরের ঘুমন্ত শিশুকে অপহরণ, দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের পর শিরশ্ছেদ

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: আগস্ট ১, ২০১৯, ০৩:১৪ পিএম ভারতে ৩ বছরের ঘুমন্ত শিশুকে অপহরণ, দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের পর শিরশ্ছেদ

ভারতে তিন বছরের এক শিশুকে মায়ের পাশ থেকে তুলে নিয়ে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের পর শিরচ্ছেদ করে হত্যাকরেছে ধর্ষকরা। এমনই এক নৃশংস ঘটনার খবর প্রকাশ করেছেদ ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি। ভারতের ঝাড়খণ্ড প্রদেশের জামশেদপুরের এমন নির্মম ঘটনা ঘটে।

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দেশটির গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের বরাতে জানা যায়, জামশেদপুরের একটি রেলওয়ে প্ল্যাটফর্ম থেকে বাচ্চাটিকে অপহরণ করে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে দু'জন অভিযুক্তই ধর্ষক বলে মনে করছে স্থানীয় পুলিশ। এদের মধ্যে একজন ২০১৫ সালে একটি শিশুকে অপহরণ করে খুনের চেষ্টায় সাজাপ্রাপ্ত। মাত্রই সে জেল থাকা ছাড়া পেয়েছে। 

শিশুটি গত সপ্তাহ থেকেই নিখোঁজ ছিল। সিসিটিভি ফুটেজ থেকে ধরা পড়েছে কীভাবে রেলওয়ে প্ল্যাটফর্ম থেকে মায়ের পাশে ঘুমন্ত শিশুটিকে অপহরণ করে নিয়ে যাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। শিশুটি তার মায়ের কোলে শুয়ে ঘুমোচ্ছিল। তখনই শিশুটিকে অপহরণ করে নিয়ে যায় তারা। পরে মেয়েটির মা সকালে মেয়েকে না পেয়ে থানায় জানায়। তার সন্দেহ ছিল তার পুরুষ সঙ্গীর দিকে। স্বামীকে ছেড়ে এই সঙ্গীর সঙ্গেই তিনি পুরুলিয়া থেকে এখানে আসেন।

ফুটেজ দেখে পুলিশ অপরাধীদের সনাক্ত করার চেষ্টা করে। মঙ্গলবার রাতে শিশুটির দেহ পাওয়া যায় প্লাস্টিকের ব্যাগে। ওই স্টেশন থেকে ৪ কিমি দূরে এক বস্তির ধারে ঝোপের মধ্যে। পুলিশ জানিয়েছে, অন্যতম অভিযুক্ত বছর তিরিশের যুবকটি নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। জানিয়েছে কীভাবে ধর্ষণ করার পরে হত্যা করা হয়েছিল শিশুটিকে।

৩৭ বছর বয়সী রিঙ্কু সাহু তাতানগর রেলস্টেশনে মায়ের পাশে ঘুমন্ত বাচ্চাটিকে তুলে নিয়ে যায়, শিশুটিকে ধর্ষণ করে এবং তারপর শিশুটির শিরশ্ছেদ করে দেহটি পরিত্যাক্ত স্থানে ফেলে দেয়া হয়। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাতে শিশুটির দেহ উদ্ধার করে পুলিশ এবং তার আগের দিন অভিযুক্ত সাহুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বলে জানায় পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজে সাহুর সহকর্মী কৈলাশ কুমারকেও সনাক্ত করা হয়।

পুলিশের গোয়েন্দা কুকুরকে কাজে লাগিয়ে শিশুটির ছিন্ন মাথাটি খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। সেটি এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ভারতের রেলওয়ে পুলিশ কর্মকর্তা এন্থেশাম ওয়াকুয়ারিব। গত শুক্রবার (২৬ জুলাই) এই নৃশংস, ঘৃণ্য অপরাধটি ঘটানো হয় বলে মনে করছে পুলিশ। কী ধরনের বর্বরতার শিকার হতে হয়েছিল শিশুটিকে তা তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন থেকেই পরিষ্কার।

এসকে