১৯৯৮ সালে মুক্তি পাওয়া ‘ডিপ ইপমপ্যাক্ট’ চলচ্চিত্রটির কথা কি কারো মনে আছে? পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছিল মাত্র সাত মাইল লম্বা একটি গ্রহাণু। অনেক চেষ্টার পর সেটিকে দুই টুকরো করলেও ছোট টুকরোটি আছড়ে পড়ে আটলান্টিক মহাসাগরে এবং মেগাসুনামির সৃষ্টি করে। সাড়ে তিন হাজার ফুট উচু ঢেউ মুহূর্তেই মুছে দেয় কয়েক কোটি প্রাণ।
আর মাত্র তিনদিন পর আমেরিকার এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ের চেয়েও বড় একটি গ্রহাণু পৃথিবীর ধার ঘেঁষে বেরিয়ে যাবে। নাসা জানিয়েছে, তারা গ্রহাণুর গতিবেগ পরিমাপ করে জানিয়েছে, ১০ অগাস্ট ঘণ্টায় ১৬,৭৪০ কিলোমিটার বেগে পৃথিবীর পাশ দিয়ে চলে যাবে এই বৃহদাকার গ্রহাণু। এর নাম অ্যাস্টারয়েড ২০০৬ কিউকিউ ২৩। যার ব্যাস প্রায় ৫৬৯ মিটার। অবশ্যই এটি অনুমান সাপেক্ষ। পৃথিবী থেকে ০.০৪৯ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিটের (প্রায় ৭.৪ মিলিয়ন কিলোমিটার) মধ্যে দিয়ে উড়ে যাবে এই গ্রহাণু।
যেহেতু গ্রহাণুটি পৃথিবীর ০০.০৫ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিট পরিসরের মধ্যে রয়েছে, তাই এটি সম্ভাব্য বিপজ্জনক হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে এমনটা মনে করার কোনো কারণ নেই যে পৃথিবীতে এসে আছড়ে পড়বে সেটি। নাসার প্ল্যানেটারি ডিফেন্স কো-অর্ডিনেশন অফিসের দুই সদস্য লিন্ডসে জনসন এবং কেলি ফাস্ট সিএনএনকে জানিয়েছেন, গ্রহাণু ২০০৬ কিউকিউ ২৩ কে ট্র্যাক করছেন তারা।
নাসার ওয়েবসাইটের পেজে ব্যাখ্যা করা আছে, কয়েক মিটার আকারের ছোট ছোট গ্রহাণু মাসে বেশ কয়েকবার পৃথিবী এবং চাঁদের কক্ষপথের মধ্যে ঢুকে পড়ে। এই গ্রহাণুগুলি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে বারবার আঘাত হানে এবং প্রতিদিনই প্রায় মহাকাশে বিস্ফোরিত হয়। যে কারণে মাঝেমাঝেই রাতের আকাশে তারা খসা দেখতে পাওয়া যায়। কখনও কখনও এগুলি উল্কা হিসাবে পৃথিবীর মাটিতেও ধেয়ে আসে।
এছাড়াও নাসা বর্তমানে আরেকটি গ্রহাণু নিয়ে পর্যবেক্ষন শুরু করেছে। যার নাম বেন্যু। ২১৭৫ থেকে ২১৯৫ সালের মধ্যে পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার একটি ক্ষীণ সম্ভাবনা রয়েছে এই গ্রহাণুর।
সূত্র : নাসা
এসজেড