ওমর আবদুল্লা এবং জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি এবং কয়েকশ রাজনৈতিক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর অঞ্চলের বিশেষ অধিকার সংক্রান্ত সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের বৈধতা চ্যালেঞ্জে অবশেষে দেশটির শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হতে যাচ্ছে, ওমর আব্দুল্লাহর নেতৃত্বাধীন আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল কনফারেন্স।
শনিবার (১০ আগস্ট) ভারতীয় বার্তা সংস্থা এনডিটিভি প্রকাশিত এক সংবাদে জানা যায়, এরইমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্ত 'বেআইনি' দাবি করে এর বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন পেশ করেছে দলটি।
এদিকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরপরই অঞ্চলজুড়ে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে নৈরাজ্য সৃষ্টির সম্ভাবনায় জারি করা হয় কারফিউ। এ সময় জম্মু ও কাশ্মীরে প্রচুর সেনা মোতায়েনের পাশাপাশি সে অঞ্চলের জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা ওমর আবদুল্লা এবং জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিসহ কয়েকশ রাজনৈতিক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়।
তবে গ্রপ্তার হওয়ার আগেই এই বিধান পুনপ্রতিষ্ঠার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হবার কথা আগেই আভাস দিয়ে ছিলেন এই নেতা। এছাড়া ন্যাশনাল কনফারেন্সের দুই সাংসদ আকবর লোন এবং হাসনাইন মাসুদি এরইমধ্যে শীর্ষ আদালতে এই সংক্রান্ত একটি পিটিশন দায়ের করেছেন।
এদিকে লাদাখের বিজেপি সাংসদ, জামায়াং ত্রেসিং নামগিয়াল, পার্বত্য অঞ্চলকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে পরিণত করার কেন্দ্রের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা অবলুপ্তি করার বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে সংসদে বিতর্ক চলার পর এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির বক্তব্যের প্রশংসাও করেছেন ওই বিজেপি সাংসদ সহ দলের অন্য নেতারা প্র।
"যদি লাদাখ আজ অনুন্নত হিসাবে পরিগণিত হয়, তার জন্যে দায়ী সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ এবং কংগ্রেস দল" বলেন বিজেপি নেতা নামগিয়াল। তিনি এই সপ্তাহের গোড়ার দিকেই সংসদে জোর দিয়ে বলেন যে লাদাখের জনগণ গত সাত দশক ধরে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে তাঁদের ওই জায়গার ঘোষণা করার আবেদন জানিয়ে পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করে চলেছে।
শনিবার শ্রীনগর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শাহীদ চৌধুরী ট্যুইট করেছেন নগরীর বেশিরভাগ জায়গার কড়াকড়ি ও সীমাবদ্ধতা অনেকটাই শিথিল করা হয়েছে। টাইমস অব ইন্ডিয়া
এসকে