সেই ২৪ মার্চ যবে থেকে দেশজুড়ে লকাডাউন শুরু হয়েছে, তখন থেকেই স্নান করা রীতিমতো বন্ধ করে দিয়েছেন স্বামী। শুধু তাই নয়। শারীরিক সম্পর্ক করতে হবে বলে প্রতিনিয়ত স্ত্রীকে তিনি জোরজবরদস্তি করেই চলেছেন। ঠিক এই মর্মেই বেঙ্গালুরুর দুই সন্তানের মা পুলিশের হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে সাহায্য চাইলেন।
বেঙ্গালুরু পুলিশের তরফে জানানো হয়, এই রকম অনেক অভিযোগই জমা হচ্ছে তাদের কাছে। লকডাউনের কারণেই পরিবারের মধ্যে খিটিমিটি বাড়ছে এবং নারীরা দাম্পত্য কলহের শিকার হচ্ছেন বিশেষ করে।
পুলিশের তরফে আরও বলা হয়েছে, শুধু যে বেঙ্গালুরুই এমনটা নয়। অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন, আমেরিকা- প্রায় সব জায়গাতেই লকডাউনের সময়ে গার্হস্থ্য হিংসার শিকার নারীরা। খবর এই সময়’র।
বেঙ্গালুরু পুলিশ বলছে, ওই নারীর বয়স ৩১ বছর। দুই সন্তানের মা তিনি। তার স্বামী একটি মুদিখানা দোকান চালান। হুট করেই নগদের জোগান কমে যাওয়ায় লকডাউন শুরু হতেই দোকান বন্ধ করে দেন ওই ব্যক্তি। এদিকে মনমরা হয়ে পড়ে থেকে নিজের স্বাস্থ্যবিধির ভালো জ্ঞানটাই হারিয়ে ফেলেন। স্বামী। লকডাউনে স্নান করাই বন্ধ করে দেন।
পুলিশের কাছে ওই নারী জানায়, তার স্বামী স্নান তো করছেনই না। উপরন্তু প্রতিদিন তাকে শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য জোর-জবরদস্তি করে যাচ্ছেন।
তার কথায়, আমাদের ৯ বছরের মেয়েটাও এখন ওর বাবার রুটিনই মেনে চলছে। ও স্নান করা বন্ধ করে দিয়েছে।
এদিকে বেঙ্গালুরু পুলিশের কাছে জমা হয়েছে আর এক কেস।
লকডাউনের সময়েই এক স্বামী আবার স্ত্রীর কাছে বায়না করেছিলেন চিকেন বিরিয়ানি বানিয়ে দিতে। কিন্তু স্ত্রী তাতে রাজি হননি। রেগে গিয়ে স্ত্রীকে বাড়ি থেকেই বের করে দেন ওই গুণধর। তারপরই পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই নারী।
এসএমএম