জাপানে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা সত্ত্বেও করোনা রোগীর সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। চিকিৎসাকর্মীরা করোনা প্রতিরোধে আরো পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছে। প্রতিদিনই দেশটিতে শত শত করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে।
কোভিড-১৯ সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশটির বিশেষজ্ঞরা।
ইউরোপের তুলনায় জাপানে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা কম হলেও এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ। এরপরই চীন ও ভারতের অবস্থান।
দেশজুড়ে মাসব্যাপী জরুরি অবস্থা সত্ত্বেও জাপানে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১০ হাজার ৭৫১ জন এবং মারা গেছে ১৭১ জন।
প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে বাসিন্দাদের প্রতি অন্য লোকের সংস্পর্শ ৭০ থেকে ৮০ ভাগ কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
তবেএসব আহ্বান সত্ত্বেও লোকজনের ঘরের বাইরে যাওয়া ঠেকানো যাচ্ছে না। অনেক দোকানপাট ও রেস্টুরেস্ট এখনও খোলা রাখা হচ্ছে। যদিও
দেশটির মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন সতর্ক করেছে, পরিস্থিতি সামাল দিতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
জাপান সরকার বলেছে, তারা করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। পরীক্ষার হার বাড়িয়েছে, আইন পরিবর্তন করেছে এবং সারাদেশে জরুরি আইন জারি করেছে। কিন্তু চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা এসব পদক্ষেপকে অপর্যাপ্ত বলছেন।
টোকিও মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট হারুয়া ওজাকি গত সপ্তাহে সতর্ক করে বলেছেন, হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্যে করা বেডগুলো সব ভরে গেছে। বেডের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু প্রতিদিনই ব্যাপক সংখ্যায় রোগী আসাতে সেসবও ভরে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিন্তু আমাদের ধারণার চেয়েও সংক্রমণ ছড়াচ্ছে আরও দ্রুত। হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সরঞ্জামেরও ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ওসাকার মেয়র স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্যে অব্যবহৃত রেইনকোট দান করার আহ্বান জানিয়েছেন। স্বাস্থ্যকর্মীরা বর্তমানে সুরক্ষা পোশাক হিসেবে গার্বেজ ব্যাগ ব্যবহার করছেন।
এসএমএম