বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের ছোবলে এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী মারা গেছেন ২ লাখ ৩৯ হাজার ৫৬২ জন। এছাড়া এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ লাখ ৮২৯ জন।
শনিবার (২ মে) সকাল পৌনে ৯টা পর্যন্ত এ সংখ্যা নিশ্চিত করেছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার। এরইমধ্যে ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়েছে করোনা ভাইরাস।
আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০ লাখ ৮১ হাজার ৫৯৯ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ২০ লাখ ৭৯ হাজার ৬৩৮ জন। এদের মধ্যে ২০ লাখ ২৮ হাজার ২৮৩ জনের শরীরে মৃদু সংক্রমণ থাকলেও ৫১ হাজার ৩৫৫ জনের অবস্থা গুরুতর।
ভাইরাসটির আক্রমণে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা প্রভাবশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৬৫ হাজার ৭৬৬ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ১১ লাখ ৩১ হাজার ২৮০ জন।মৃতের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পরের অবস্থানে রয়েছে ইউরোপের দেশ ইতালি। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২৮ হাজার ২৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৭ হাজার ৪২৮ জন। মৃত্যুর তালিকার তিন নম্বরে উঠে এসেছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২৭ হাজার ৫১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৭৭ হাজার ৪৫৪ জন।
এর পরের অবস্থানেই রয়েছে স্পেন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২৪ হাজার ৮২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে অবশ্য ২য় অবস্থানে রয়েছে এ দেশটি। এখানে ২ লাখ ৪২ হাজার ৯৮৮ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
মৃত্যুর তালিকায় এর পরের অবস্থানে রয়েছে ফ্রান্স। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২৪ হাজার ৫৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৬৭ হাজার ৩৪৬ জন।
এদিকে জার্মানিতে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৭৭ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ৭৩৬ জনের। তুরস্কে ১ লাখ ২২ হাজার ৩৯২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এখানে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজারের বেশি মানুষের। রাশিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ১৪ হাজার ৪৩১ জন, মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ১৬৯ জনের। কানাডায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫৫ হাজার ৬১ জন, মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৩৯১ জনের।
ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত হয় চীনে। সেখানে এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৮২ হাজার ৮৭৫ জন এবং মারা গেছেন ৪ হাজার ৬৩৩ জন।
এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে ইরানে। এখানে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৯৫ হাজার ৬৪৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ৯১ জনের।
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে ৮ হাজার ২৩৮ জনের শরীরে। এদের মধ্যে মারা গেছেন ১৭০ জন এবং সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৭৪ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ৭ হাজার ৮৯৪ জন।
ডিসেম্বরে চীনে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া গেলেও বাংলাদেশে ভাইরাসটি শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। ওইদিন তিন জন করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর থেকে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা অনেকটাই সমান্তরাল ছিল। কিন্তু এরপর থেকে হুট করেই বাড়তে থাকে রোগীর সংখ্যা।
তবে ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য মার্চেই ব্যবস্থা নেয় সরকার। বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। পঞ্চম দফায় বাড়িয়ে সেই ছুটি করা হয়েছে আগামী ৫ মে পর্যন্ত।
জেডএইচ