মার্কিন গবেষকদের দাবি

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকর মাউথওয়াশ

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: মে ১৪, ২০২০, ০৮:২৩ পিএম করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকর মাউথওয়াশ
প্রতীকী ছবি

মানবদেহে সংক্রমণ সৃষ্টির আগেই করোনাভাইরাসকে মেরে কোভিড-১৯ এর হানা থেকে নিজেকে রক্ষা করার সম্ভাবনা রয়েছে মাউথওয়াশের।যুক্তরাজ্যের কার্ডিফ ইউনিভার্সিটির নতুন এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা এমন দাবি করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৪ মে) ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইল প্রকাশিত এমন দাবির কথা জানানো হয়েছে।

আন্তর্জাতিক এই গবেষক দল বলেছে, করোনাভাইরাসের বাইরের আস্তরণ অথবা আবরণকে ধ্বংস করতে পারে মাউথওয়াশ। এছাড়া মাউথওয়াশের উপাদান মুখ এবং গলায় ভাইরাসটির প্রতিলিপি তৈরিও বাধাগ্রস্ত হয়।

কার্ডিফ ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেডিসিন বিভাগের সঙ্গে নটিংহাম, কলোরাডো, অটোয়া, বার্সেলোনা ও ক্যামব্রিজের বাবরাহাম ইনস্টিটিউেটের ভাইরোলোজি, লিপিড ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এই গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন।

তবে বিষয়টির সমর্থনে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ নেই বলেই জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

এতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসগুলো এনভেলপড ভাইরাস শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত। এর অর্থ- এসব ভাইরাস চর্বিযুক্ত স্তর দ্বারা আচ্ছাদিত, যা নির্দিষ্ট কিছু রাসায়নিকের মাধ্যমে ধ্বংস করা যায়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, মাউথওয়াশের কার্যকারিতা প্রমাণের জন্য জরুরিভিত্তিতে পরীক্ষা চালানো দরকার। যদিও বর্তমানে এমন ক্লিনিক্যাল কোনও প্রমাণ নেই যে, এটি সফল হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতোমধ্যে বলেছে, মাউথওয়াশের ব্যবহার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করবে এমন কোনও প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি।

কার্ডিফ ইউনিভার্সিটির এই গবেষণা দলের প্রধান গবেষক অধ্যাপক ও ডোনেল বলেন, মুখ ধোয়ার বিষয়টি গবেষণার একটি ক্ষেত্র; যা নিয়ে বড় ধরনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল দরকার। বিশ্ববিদ্যালয়টির সিস্টেম ইমিউনিটি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের এই সমন্বয়ক বলেন, গারগলের মতো মাউথওয়াশের নিরাপদ ব্যবহারকে যুক্তরাজ্যের জনস্বাস্থ্য সংস্থাগুলো এখনও বিবেচনায় নেয়নি।

গবেষকরা বলছেন, টেস্ট টিউবে পরীক্ষায় এবং সীমিত ক্লিনিক্যাল গবেষণায় দেখা গেছে, এ ধরনের আবরণযুক্ত ভাইরাসের লিপিডগুলোকে টার্গেট করার জন্য কিছু মাউথওয়াশে পর্যাপ্ত উপাদান রয়েছে। তবে সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের লিপিডের বিরুদ্ধে বর্তমান প্রচলিত মাউথওয়াশে এ ধরনের উপাদান রয়েছে কিনা তা আমরা এখনও জানি না।

নতুন এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে মাউথওয়াশের ব্যবহারে কোনও সম্ভাবনা রয়েছে কিনা তা জানার জন্য জরুরিভিত্তিতে গবেষণা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

এসকে