পাসপোর্টের নতুন সংস্করণে ‘ইসরায়েল ভ্রমণের জন্য প্রযোজ্য নয়’ এমন তথ্য সরিয়ে ফেলার পর বাংলাদেশকে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের আমন্ত্রণ জানিয়ে ফেসবুক ও টুইটারে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, শুধুমাত্র পাসপোর্টের আধুনিকায়নের জন্য ঐ অংশটি বাদ দেওয়া হয়েছে। ইসয়ালের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের উদ্দেশ্যে নয়।
বাংলাদেশের আগের পাসপোর্টে লেখা ছিল ‘দিজ পাসপোর্ট ইজ ভ্যালিড ফর অল কান্ট্রিজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড একসেপ্ট ইসরায়েল’ অর্থাৎ ইসরায়েল ছাড়া সব দেশে এই পাসপোর্ট ব্যবহার করা যাবে।
নতুন ই-পাসপোর্টে এই অংশটি সংশোধন করে লেখা হচ্ছে ‘দিস পাসপোর্ট ইজ ভ্যালিড ফর অল কান্ট্রিজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড’। অর্থাৎ বিশ্বের সব দেশে এই পাসপোর্ট ব্যবহারযোগ্য।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, আধুনিক পাসপোর্টে কোনো দেশে ভ্রমণ করা যাবে না – এমন তথ্য উল্লেখ করা হয় না। তাই আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতেই এই সংশোধন করা হয়েছে। ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রতিবাদে বাংলাদেশ ইসরায়েলকে কোন দিন স্বীকৃতি দেবে না বলেও মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এর আগে শনিবার ইসরায়েলের এক রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের নতুন পাসপোর্টের ছবি যুক্ত করে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে টুইট করেন। ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভেরিফাইড একাউন্ট থেকে সেই টুইটটি শেয়ার করা হয়।
এদিকে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেইজেও বাংলাদেশ ও ইসরায়েলের ছবিসহ পোস্টে ‘ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য’ বাংলাদেশকে সাধুবাদ জানানো হয়।
বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলেন, “পাসপোর্টের পরিবর্তন নিয়ে ইসরায়েলের উল্লসিত হওয়ার কারণ নেই। ইসরায়েলের সঙ্গে আমাদের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। ভবিষ্যতেও হওয়ার সম্ভাবনা নেই।”
অন্যদিকে বাংলাদেশিদের জন্য ইসরায়েলে ভ্রমণ এবং ইসরায়েলি পাসপোর্টধারীদের বাংলাদেশে প্রবেশও নিষিদ্ধ থাকছে বলে নিশ্চিত করেছেন তথ্যমন্ত্রী।