করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে যখন হিমশিম খাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, তখন নতুন দুঃসংবাদ নিয়ে এসেছে দারিদ্র্য। বেঙ্গালুরুর আজিম প্রেমজি বিশ্ববিদ্যালয়ের (এপিইউ) এক জরিপে দেখা গেছে, ২০২০ সালে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর দেশটিতে অন্তত ২৩ কোটি মানুষ দারিদ্র্যের কবলে পড়েছে।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ভারতে মহামারি শুরুর এক বছর পরেও জনগণের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে পারেনি ভারত সরকার। ‘মহামারির এক বছর পর ভারতের কর্মজীবীদের অবস্থা’ শীর্ষক এই জরিপে দেখা গেছে করোনার কারণে মধ্যবিত্তরা যেমন দারিদ্র্যে ভুগছে, তেমনি নিম্নবিত্তরা আরও বেশি অসহায় অবস্থায় রয়েছে।
এছাড়া মহামারিতে পুরুষের তুলনায় নারীরা বেশি চাকরি হারিয়েছেন বলেও জরিপে উঠে এসেছে। একই সঙ্গে কর্মসংস্থানের অভাবে প্রাতিষ্ঠানিক চাকরি ছেড়ে অনেকেই বেছে নিচ্ছেন ছোটখাটো কাজ। পাশাপাশি লকডাউনে দরিদ্র পরিবারগুলো আরও নিম্ন আয়ের পরিবারের পরিণত হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়্যার।
এপিইউর গবেষণা বলছে, লকডাউনে ভারতে ১০ কোটি জনগণ চাকরি হারিয়েছেন। কেবল এপ্রিল মাসেই চাকরি হারিয়েছেন ৭৩ লাখ মানুষ। সরকারি সুযোগ-সুবিধার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে লাখ লাখ মানুষ।
মহামারির ধকল কাটিয়ে ওঠার আগেই দারিদ্র্য বিমোচন ভারতের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন গবেষকরা।