সিনোফার্মের পর চীনের সিনোভ্যাক টিকার জরুরি অনুমোদন দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিবিসি জানায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৫১ ভাগ মানুষের দেহে এই টিকা করোনা প্রতিরোধে সক্ষম হয়েছে।
রোগ প্রতিরোধ ছাড়াও এই টিকা নেওয়া ১০০ ভাগ মানুষই করোনায় গুরুতর অসুস্থ বা হাসপাতালে ভর্তির মতো পরিণতি থেকে রক্ষা পেয়েছেন। আর তাই এই টিকাকে জরুরি প্রয়োগের জন্য নিরাপদ বলে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
এছাড়াও এক জরিপে দেখা গেছে, ব্রাজিলের একটি শহরে সিনোভ্যাক টিকা প্রয়োগে করোনায় মৃত্যুর হার শতকরা ৯৫ ভাগ পর্যন্ত কমেছে।
এর আগে চীনের সিনোফর্মের টিকাও গণহারে প্রয়োগের জন্য সবুজ সংকেত পায়। যদিও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এরই মধ্যে সিনোভ্যাকের টিকা ব্যবহার শুরু হয়েছে।
চীনের সিনোভ্যাক টিকা চার সপ্তাহের ব্যবধানে দুই ডোজে দেওয়া হয়ে থাকে। জাতিসংঘের
কোভাক্স কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্তির কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই টিকার প্রবেশাধিকার নিশ্চিত হল।
জরুরি অনুমোদনের মাধ্যমে এই টিকার র্যকারিতা এবং উৎদনকরণের মান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পেল।
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের স্বতন্ত্র প্যানেল এক বিবৃতিতে জানায়, ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের এই টিকা দেওয়া যাবে। তবে সর্বোচ্চ কত বছর বয়সীরা এই টিকা দিতে পারবেন তা জানানো হয়নি।
যদিও সিনোভ্যাকের তথ্য থেকে জানা গেছে, ভ্যাকসিনটি বয়স্কদের ক্ষেত্রেও বেশ কার্যকর। দরিদ্র দেশগুলোতে টিকা সরবরাহেও কোভ্যাক্স এই টিকার অন্তর্ভুক্তির অনুমোদন দিয়েছে।
সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাক দুই টিকাই লাতিন আমেরিকা, এশিয়া ও আফ্রিকাতে রপ্তানিও শুরু করেছে চীন।
এছাড়াও চীনা প্রতিষ্ঠান ক্যানসিনো বায়োলজিকস উত্পাদিত তৃতীয় আরেকটি টিকাও ক্লিনিকাল ট্রায়ালের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।