গ্রীষ্মকালে সাধারণত চীন-ভারতের সীমান্ত অঞ্চলে তুষারপাত বন্ধ থাকায় পার্বত্য অঞ্চলের অপরুপ প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখা যায়। তবে এবছর স্যটেলাইটে ধারণকৃত ছবিতে দুপক্ষের যুদ্ধের প্রস্তুতি দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ।
গত বছর মে মাসে লাদাখ সীমান্তে চীনের সৈন্যদের সঙ্গে সংঘর্ষের স্থলের আশেপাশের সীমান্তবর্তী এই অঞ্চলে ৬০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে ভারত।
এদিকে কয়েক সপ্তাহ ধরেই সীমান্তে সামরিক মহড়া চালাচ্ছে চীন। লাদাখের অপরদিকে তিব্বতের বিমানঘাঁটি থেকে ২৪টি যুদ্ধবিমানকে মহড়া দিতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।ভারতের আকাশসীমাতেও মিগ-২৯ ও রাফালে যুদ্ধবিমানকে টহল দিতে দেখা যায়। ভারতের এই পদক্ষেপ চীনের জন্য সতর্কবার্তা বলেই মনে করা হচ্ছে।
এছাড়াও জিনজিয়াং ও তিব্বতের স্বায়ত্তশাসিত সামরিক অঞ্চলে ৭টি চীনা সামরিক ঘাঁটি পর্যবেক্ষণে স্যাটেলাইট ও নজরদারি ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। যুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়েছে ভারতীয় বিমানবাহিনীর ঘাঁটিগুলো।
এমন পরিস্থিতিএ পারমাণবিক-সশস্ত্র দুই প্রতিবেশীর মধ্যে আবারও যুদ্ধাবস্থা সৃষ্টির আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
২০২০ সালের নিয়ন্ত্রণরেখার ৩,৮০০ কিলোমিটার সীমান্ত অতিক্রম করে নতুন সীমান্ত চৌকি স্থাপন করে চীন। মে মাসে গালওয়ান উপত্যকায় রকাধিক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ ভারতীয় সেনাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। অপরদিকে চার সেনা নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করে চীন।