রবিবার (৬ জুন) সন্ধ্যায় কানাডার অন্টারিও প্রদেশের লন্ডন শহরে পিকআপ ট্রাকের চাপায় নিহত হন একই পরিবারের চার মুসলিম সদস্য। গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন সেই পরিবারেরই আরেক সন্তান। ইসলামোফোবিয়া তথা মুসলিমভীতির কারণেই এই হামলা চালানো হয়েছে – এই তথ্য নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
অন্টারিওর এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা কানাডায়। মুসলিম বিদ্বেষের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে দেশটির সচেতন নাগরিকরা।
বর্ণবাদ, প্রতিহিংসামূলক হত্যা আর মুসলিম বিদ্বেষের নিন্দা জানিয়ে পার্লামেন্টে ভাষণ দিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। দেশে বিদ্বেষকারীর কোন স্থান নেই, মুসলিমদের পাশে আছে কানাডা সরকার – এমন আশ্বাস দেন তিনি।
এবার সেই অন্টারিওর বাসিন্দারা মুসলিমদের প্রতি সহমর্মিতা জানাতে নেমে এলেন রাজপথে। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১১ জুন) ইসলামফোবিয়ার নিন্দা জানাতে ও লন্ডনের হামলায় শিকার পরিবারের প্রতি নিজের সমর্থন জানাতে রাজপথে সমাবেশে করেন হাজার হাজার কানাডিয়ান।
সংবাদমাধ্যম সিবিসি নিউজ কানাডা জানায়, শুক্রবার লন্ডনে মুসলিম বিদ্বেষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারীরা প্রায় সাত কিলোমিটার দীর্ঘ শোভাযাত্রা করেন। “এখানে ঘৃণার কোনও জায়গা নেই”, “মুসলিম ভীতি নিরীহদের মৃত্যুর কারণ”, “হামলার শিকার সবাই আমাদেরই পরিবার” এমন সব স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড বহন করেন কানাডিয়ান বিক্ষোভকারীরা।
কানাডার সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ অন্টারিওয়ের বিভিন্ন শহরেও একই দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। শোভাযাত্রার পর কয়েক হাজার মুসলিম ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের জনগণ অন্টারিও স্কারবোরোর স্থানীয় পার্কে জড়ো হয়ে হামলায় নিহত পরিবারের স্মরণে মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখেন এবং ফুল দিয়ে শোকবার্তা দেন।
এই হামলা কানাডায় সবার মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে দাবি করে হামলাকারীর উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন প্রতিবাদে অংশে নেয়া অনেকেই। ঘটনার নিন্দা জানান স্থানীয় রাজনীতিবিদরা। এছাড়াও ইসলামফোবিয়াকে প্রতিহত করতে ও জাতিগত বিভেদ নির্মূলের ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান অন্টারিওর বাসিন্দারা।