যারা ভোগেন কেবল তারাই বোঝেন পেটে গ্যাস হওয়াটা কত যন্ত্রণার। একটু ভাজাপোড়া অথবা দাওয়াত, পার্টিতে মসলাযু্ক্ত খাবার খেলে তো শুরু হয়ে যায় অস্বস্তিকর গ্যাসের সমস্যা। আর এই সমস্যাকেই আয়ের পন্থা বানিয়েছেন অভিনেত্রী স্টেফানি মাটো।
পেটের গ্যাস বোতলে ভরে বিপুল দামে বিক্রি করে কিছু দিন আগে নজরে এসেছিলেন স্টেফানি মাটো। সপ্তাহে প্রায় ৩৮ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪৪ লাখ টাকা) রোজগার করছিলেন স্টেফানি মাটো।
হঠাৎ ইনস্টাগ্রামে তার এই কাণ্ডকারখানা ছড়িয়ে পড়ে। নিজের পেটের গ্যাস বোতলে ভরে বিক্রি রছিলেন তিনি। এক বোতলের দাম ১ হাজার ডলার। স্টেফানি জানিয়েছিলেন, চাহিদা এমন বেড়েছিল, কোনো কোনো সপ্তাহে ৫০টা পর্যন্ত বোতল বিক্রি করতে হয়েছে তাকে। কিন্তু এই অর্থের চাহিদা এবং অতিরিক্ত গ্যাস উৎপাদনের লোভেই তাকে যেতে হল হাসপাতালে।
‘৯০ ডেজ ফিয়ান্সে’ নামক শো-এর জন্য খ্যাত এই অভিনেত্রীর এই পেশা অবশ্য একটানা বেশি দিন চলল না। তার আগেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে তিনি। এবং তার কারণও ওই একটাই— আরও বেশি মাত্রায় গ্যাস তৈরি করার চেষ্টা!
সংবাদমাধ্যমকে স্টেফানি জানিয়েছে, ‘অতিরিক্ত পরিমাণে গ্যাস তৈরির চেষ্টা করছিলাম। হঠাৎ মনে হল হার্ট অ্যাটাক হয়েছে।’ কী করে এমন হল? অভিনেত্রী বলেছেন, গ্যাসের উৎপাদনের হার বাড়াতে দিনে তিন গ্লাস প্রোটিন শেক, তার সঙ্গে বিরাট এক পাত্র ব্ল্যাক বিন স্যুপ খেতেন তিনি। আর এই করতে গিয়েই একদিন মনে হল, ‘কিছু একটা গণ্ডগোল হয়েছে’। তলার দিকের বদলে ওপরের দিকে ধাক্কা দিতে শুরু করল গ্যাস!
স্টেফানির কথায়, শ্বাস আটকে গেল! হার্টের কাছে ব্যথা করছে। মনে হল, মরেই যাব। ভয় বাড়তে লাগল। আর দেরি না করে একজন বন্ধুকে ফোন করে বললাম আমায় হাসপাতালে নিয়ে যেতে।
তবে চিকিৎসকদের এই অদ্ভুত রোজগারের পদ্ধতি সম্পর্কে কিছু বলেননি তিনি। চিকিৎসকরা শুধু তার খাদ্যাভ্যাসের কথা শুনে তা বদলাতে বলেছেন। তাই আপাতত ‘গ্যাসের ব্যবসা’ থেকে অবসর নিচ্ছেন স্টেফানি।
ইউএম