ব্রিটেনের ইউনিভার্সিটি অব এক্সেটার-এর অ্যানেট প্লাউট নামে এক শিক্ষিকাকে এক লাখ ইউরো (প্রায় ১ কোটি টাকা) ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।
উচ্চস্বরে কথা বলার কারণে ওই শিক্ষিকাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।
অ্যানেট প্লাউট ২৯ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইউনিভার্সিটি অব এক্সেটার-এর পদার্থবিদ্যা বিভাগে পড়াচ্ছিলেন। কিন্তু তার উচ্চ কণ্ঠস্বরের জন্য তাকে হঠাৎই বরখাস্ত করা হয়। তবে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় যুক্তি দিয়েছিল, দুইজন ছাত্রের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করার জন্যই তাকে বরখাস্ত করা হয়।
৫৯ বছর বয়সি অ্যানেট বলেন, তিনি মধ্য-ইউরোপীয় ইহুদি হওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই তার 'উঁচু' কণ্ঠস্বর। আর এই কারণেই তাকে বরখাস্ত করা হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি, তাকে বরখাস্ত করার সঙ্গে তার জাতি, যোগ্যতা বা লিঙ্গের কোনো সম্পর্ক ছিল না।
বিতর্কিত এই বরখাস্তের পরে অ্যানেট বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অসচেতন এবং পক্ষপাতদুষ্ট বলে বর্ণনা করেন।
ওই শিক্ষিকা বলেন, তিনি যখন নিউইয়র্ক ও জার্মানিতে থাকতেন এবং কাজ করতেন, তখন তার উচ্চস্বরে কারও কোনো সমস্যা ছিল না।
এরপর আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। অ্যানেটের পক্ষেই রায় দেন বিচারকরা। পুনর্নিয়োগের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় যেন অ্যানেটকে ১ লাখ ইউরো (প্রায় এক কোটি টাকা) ক্ষতিপূরণ দেয়, তারও নির্দেশ দেন আদালত।