মানসিক ভারসাম্যহীন আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

বিশ্ব ডেস্ক প্রকাশিত: এপ্রিল ২৭, ২০২২, ০৪:১৯ পিএম মানসিক ভারসাম্যহীন আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

মাদক পাচারের অভিযোগে মালয়েশিয়ার এক নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে সিঙ্গাপুর। বুধবার (২৭ এপ্রিল) তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। অবশ্য মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগে আসামির বুদ্ধিবৃত্তিক অক্ষমতা রয়েছে জানিয়ে ক্ষমার জন্য আবেদন করেছিল তার পরিবার।

তবে পরিবারের ওই আবেদন সত্ত্বেও রায় কার্যকরের এই বিষয়টি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা মালয়েশিয়ার ওই নাগরিকের নাম নাগেনথারান ধর্মলিঙ্গম। ৩৪ বছর বয়সী ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই মালয়েশীয়কে মাদক পাচার করার দায়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছিল আদালত।

রয়টার্স বলছে, মাদক ও মাদক পাচার নিয়ে সিঙ্গাপুরে বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন আইন রয়েছে। নাগেনথারান ধর্মলিঙ্গম সিঙ্গাপুরে ৪৪ গ্রাম  (১ দশমিক ৫ আউন্স) হেরোইন পাচারের জন্য এক দশকেরও বেশি সময় ধরে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত ছিলেন। আইনজীবীরা তার ফাঁসির বিরুদ্ধে একাধিক আপিল করে নাগেনথারানকে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হিসেবে দাবি করেছিলেন।

নাগেনথারানের ভাই ২২ বছর বয়সী নবীন কুমার টেলিফোনে রয়টার্স’কে জানান, তার ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, মরদেহ মালয়েশিয়ায় ফেরত পাঠানো হবে এবং সেখানে ইপোহ শহরে একটি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে মঙ্গলবার সিঙ্গাপুরের একটি আদালত নাগেনথারানের মায়ের দাখিল করা একটি আইনি চ্যালেঞ্জ খারিজ করে দেয়। আদালতের এই সিদ্ধান্তের ফলে ফাঁসির মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পথ পরিষ্কার হয়।

মঙ্গলবারের শুনানি শেষে ধর্মলিঙ্গম এবং তার পরিবারের সদস্যরা কাঁচের পর্দার ফাঁক দিয়ে একে-অপরের হাত শক্ত করে ধরেছিলেন। এসময় তাদেরকে কাঁদতে দেখা যায়। একপর্যায়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে নাগেনথারানের ‘মা’ চিৎকার ছড়িয়ে পড়ে আদালতের চারপাশে।

অবশ্য এ ধরনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করে না সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ।

এর আগে নাগেনথারান ধর্মলিঙ্গমের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পরিকল্পনার প্রতিবাদে গত সোমবার সিঙ্গাপুরের একটি পার্কে মোমবাতি হাতে প্রতিবাদ করেছিলেন প্রায় ৩০০ মানুষ। কিন্তু এরপরও শেষপর্যন্ত ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই মালয়েশীয় নাগরিকের সাজা কার্যকর করল সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ।

ইউএম