মাংকিপক্স এবং লাসা জ্বরের মতো রোগ ক্রমাগত এবং ঘন ঘন স্থানীয়ভাবে ছড়িয়ে পড়বে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
বুধবার (১ জুন) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি পরিস্থিতি বিষয়ক পরিচালক মাইক রায়ান এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আবহাওয়া পরিস্থিতি দ্রুত বদলে যাওয়ায় মানুষ ও প্রাণীর খাদ্যগ্রহণের মতো স্বভাব বদলে যাচ্ছে। এর ফলে ‘পরিবেশগতভাবে ভঙুর’ রোগগুলো যা সাধারণত অন্যান্য প্রাণীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে, সেগুলোও ক্রমবর্ধমানভাবে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে বলে মন্তব্য করেন মাইক রায়ান।
মাইক রায়ান বলেন, দুর্ভাগ্যবশত এসব রোগের ছড়িয়ে পড়ার এবং জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিস্তারের ক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে রোগের উদ্ভব এবং রোগের পরিবর্ধনের কারণ উভয়ই বেড়েছে।
উদাহরণ হিসেবে তিনি লাসা জ্বরের প্রকোপ বাড়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, ভাইরাসজনিত এই রোগটি আফ্রিকায় স্থানীয়ভাবে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘ইবোলা প্রাদুর্ভাবের সময় আমরা অন্তত তিন থেকে পাঁচ বছর সময় পেয়েছিলাম। আর এখন তিন থেকে পাঁচ মাস পেলে সৌভাগ্য ধরতে হবে। সুতরাং ব্যবস্থায় অবশ্যই পরিবেশগত চাপ রয়েছে।’
আফ্রিকার বাইরেও মাংকিপক্স ছড়িয়ে পড়ায় এসব সতর্কবার্তা শোনালেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই কর্মকর্তা।
এরই মধ্যে তারা আফ্রিকার বাইরে অন্তত ৩০টি দেশে ৫৫০ জনের বেশি মাংকিপক্সে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য পেয়েছে বলে বুধবার (১ জুন) সংস্থাটি জানিয়েছে।
জাগরণ/আন্তর্জাতিক/বিশ্বস্বাস্থ্য/এসএসকে