চীন যে তাইওয়ানের ওপর দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটি চ্যালেঞ্জ করা উচিত। মার্কিন সপ্তম নৌবহরের অধিনায়ক ভাইস অ্যাডমিরাল কার্ল টমাস এ কথা বলেন। তিনি বলেন, না হলে চীনের এ ধরনের সামরিক পদক্ষেপ স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়বে। তিনি এটিকে এমন এক বিষয় বলে বর্ণনা করেন, যা সবাই জানে, কিন্তু যা নিয়ে কেউই কথা বলতে চায় না।
স্বশাসিত দ্বীপ তাইওয়ানের চারপাশে এ মাসের শুরুতে চীন সামরিক মহড়া দেয়। তবে তাইওয়ানের ওপর দিয়ে এই মহড়ার সময় কোনো ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে কিনা সেটি বেইজিং নিশ্চিত করেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি এ মাসে তাইওয়ান সফরের পর ওই অঞ্চলে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। তার এই উচ্চপর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সফর চীনকে সাংঘাতিক ক্ষুব্ধ করে, কারণ তারা তাইওয়ানকে নিজেদের দেশের অংশ বলে মনে করে।
ভাইস অ্যাডমিরাল টমাসের মন্তব্যকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ জাপানের ইউকোসুকায় অবস্থিত মার্কিন সপ্তম নৌবহর যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় অগ্রবর্তী নৌবহর। এই নৌবহরে ৫০ থেকে ৭০টি জাহাজ এবং সাবমেরিন আছে। এশিয়ার এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতির খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ এটি।
এদিকে মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলের তাইওয়ান সফরের প্রতিক্রিয়ায় ১৭টি চীনা সামরিক বিমান ও পাঁচটি জাহাজ তাইওয়ান প্রণালির মধ্যরেখা অতিক্রম করেছে। তাইওয়ান নিউজ জানায়, দেশটির জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় (এমএনডি) সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ১৭টি চীনা সামরিক বিমান ও পাঁচটি জাহাজ ট্র্যাক করেছে।
পিপলস লিবারেশন আর্মি বিমান বাহিনীর (পিএলএএফ) ১৭টি বিমানের মধ্যে চারটি সুখোই সু-৩০ যুদ্ধবিমানসহ রয়েছে তিনটি শেনইয়াং জে-১১ জেট ফাইটার, দুটি শেনয়াং জে-১৬ জেট ফাইটার ও একটি শানসি ওয়াই-৮ পরিবহন বিমান। এই বিমানগুলো সোমবার তাইওয়ান প্রণালির মধ্যরেখা অতিক্রম করেছে বলে জানায় এমএনডি। খবর রয়টার্স ও সিএনএনের।
এসকেএইচ//