অর্থনৈতিক মন্দার দিকে অগ্রসর হচ্ছে বিশ্ব। বছরের শুরুতে এমন গুঞ্জন শোনা গেলেও যত দিন যাচ্ছে ততোই জোরালো হচ্ছে এই আশঙ্কা।
সম্প্রতি বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ২২টি সরকারি ও বেসরকারি খাতের অর্থনীতিবিদের মতামত নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম। তাতে দেখা গেছে, প্রতি ১০ জন অর্থনীতিবিদের ৭ জনই ২০২৩ সালে বৈশ্বিক মন্দার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
সম্প্রতি ২০২৩ সালে ভয়াবহ বৈশ্বিক মন্দার শঙ্কা প্রকাশ করেছে খোদ বিশ্বব্যাংক। ধারাবাহিক মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলায় বেশিরভাগ দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার বাড়ানোয় এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে মত তাদের।
গ্লোবাল রিসেশন প্রোবাবিলিটি মডেলের জন্য পরিচিত ফ্লোরিডাভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান নেড ডেভিস রিসার্চ বৈশ্বিক মন্দার আশঙ্কা আরও জোরালো করেছে। তারা বলছে, আগামী বছর মন্দা দেখা দেওয়ার হার ৯৮ দশমিক ১ শতাংশ।
সুদের হার বাড়ায় কমেছে ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ। কমেছে, কর্মসংস্থানের সুযোগও। বাণিজ্য, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হ্রাস পাওয়ায় মূূল্যবৃদ্ধির এই বাজারে ভারসাম্য খুঁজে পাওয়াই কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলির কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মত অর্থনীতিবিদদের।
যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি বিশ্বের অপর দেশগুলোতেও আশা সঞ্চারের মতো কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না। ইউরোপের তিনটি বৃহৎ অর্থনীতি জার্মানি, ইতালি ও যুক্তরাজ্য আগামী বছর দীর্ঘ মন্দায় পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধে সৃষ্ট জ্বালানি সংকট এর অন্যতম কারণ।
২০২৩ সালে ইউরো অঞ্চলে মাত্র শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশা করছে অর্গানাইজেশন ফর ইকনোমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট। যা অঞ্চলটির বেশিরভাগ দেশের আগামী বছর মন্দায় পতিত হওয়ার ইঙ্গিত।
এশীয় প্রশান্ত অঞ্চলে অর্থনৈতিক সংকোচন এড়িয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা থাকলেও চীনের ‘জিরো কোভিড’ লকডাউন ও সীমান্তে বিধিনিষেধে, অঞ্চলটির প্রবৃদ্ধিতে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পরবে বলে মত বিশ্লেষকদের। এমন পরিস্থিতিতে মন্দার শঙ্কা এড়িয়ে যাওয়া কঠিন বলেও মনে করছেন তারা।
জাগরণ/আন্তর্জাতিক/এসএসকে