সুন্দরী প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে কিলঘুষি-লাথি

বিশ্ব ডেস্ক প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২২, ০৮:৩৬ পিএম সুন্দরী প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে কিলঘুষি-লাথি

প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত মিস শ্রীলঙ্কা নিউইয়র্ক সুন্দরী প্রতিযোগিতার আয়োজন হাতাহাতি আর মারধরের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে। শুক্রবার মিস শ্রীলঙ্কা সুন্দরী প্রতিযোগিতার পার্টি শেষে এই মারামারি শুরু হয়; যার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়ে ছড়িয়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, সুন্দরী প্রতিযোগিতার এই আয়োজনে ৩০০ জনেরও বেশি অতিথি উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে সেখানে উপস্থিত নারী এবং পুরুষরা একে অপরকে কিল-ঘুষি, লাথি এমনকি মাটিতে ফেলেও মারধর করছেন।

হংকংভিত্তিক ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের (এসসিএমপি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুন্দরী প্রতিযোগিতার আয়োজনে কী নিয়ে অতিথিদের মাঝে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। সেখানে কিছু জিনিসপত্রেরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সংঘর্ষে জড়িত একাধিক জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এসসিএমপি বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানো অনেক শ্রীলঙ্কান অভিবাসীর বসবাস রয়েছে নিউইয়র্কের স্টেট আইল্যান্ডে। যে কারণে আয়োজকরা সেখানেই অনুষ্ঠানটি করার সিদ্ধান্ত নেন। কঠিন অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়া নিজ দেশকে সহায়তা করতেই তারা এই আয়োজন করেন।

সুন্দরী প্রতিযোগিতার অন্যতম আয়োজক সুজানি ফার্নান্দোর বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক পোস্ট বলেছে, ১৪ জন প্রতিযোগীর কেউই সংঘর্ষে জড়াননি।

গত বছর প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের অনুষ্ঠানে প্রতিদ্বন্দ্বীর মাথা থেকে মুকুট ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মিস শ্রীলঙ্কাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সেই ঘটনার এক বছর পর মিস শ্রীলঙ্কা সুন্দরী প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে মারামারি-হাতাহাতির ঘটনাটি ঘটেছে। গত বছর গ্রেপ্তার হওয়া মিস শ্রীলঙ্কা বলেছিলেন, বিবাহবিচ্ছেদ হওয়ায় তাকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছিল।

স্টেট আইল্যান্ডের এই ঘটনা শ্রীলঙ্কার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের ব্যাপক ক্ষুব্ধ করে তুলেছে। দেশটির অনেকে বলেছেন, এই ধরনের আচরণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।

টুইটারে একজন লিখেছেন, শ্রীলঙ্কান গ্রামে বসবাসকারীদের সাধারণ আচরণ। প্রত্যেকটি অনুষ্ঠানই মারামারিতে শেষ হয়। বৃদ্ধ, শিশু থেকে নারী। তারা প্লাস্টিকের চেয়ার, ছাতা দিয়ে পরস্পরকে আঘাত করে। এটা দেখতে বেশ উত্তেজনাকর।

অন্য একজন বলেছেন, এটি অত্যন্ত লজ্জাজনক এবং বিব্রতকর। তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করে আইন অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া উচিত।

সুজানি ফার্নান্দো অবশ্য বলেছেন, ছাঁচিকরণ করার দরকার নেই। শ্রীলঙ্কানরা ভালো মানুষ। এটি কেবল মারামারির ঘটনা। বাচ্চাদের মাঝে মারামারি হয়। আর এমন ঘটনা যেকোনও সংস্কৃতি, যেকোনও  জাতির ক্ষেত্রেই ঘটে। এটি যে কেবল শ্রীলঙ্কানদের মাঝে হয়, তেমন নয়। আমরা সেই ধরনের মানুষ নই।

এবারের মিস শ্রীলঙ্কা নিউইয়র্ক মুকুট পেয়েছেন অ্যাঞ্জেলিনা গুনাসেকারা। দেশে ক্যনসার হাসপাতালের তহবিল সংগ্রহের জন্য নিউইয়র্কে ওই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল।