ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ২২ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে তুরস্কে মৃত্যু হয়েছে ১৮ হাজার ৯৯১ জনের আর সিরিয়ায় প্রাণ হারিয়েছে ৩ হাজার ৩৮৪ জন। আহতের সংখ্যা এক লাখের কাছাকাছি। তবে আশার কথা, তুরস্কে ১০০ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার হয়েছে একই পরিবারের ৬ জন।
দুই দেশের ৮ লাখ ৭৪ হাজার ক্ষতিগ্রস্তের জন্য ৭ কোটি ৭০ লাখ ডলারের সহায়তা আহ্বান করেছে জাতিসংঘ।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রিখটার স্কেলের ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্ব ও সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল। বহু হতাহতের কারণে ২০ বছরের মধ্যে এই ভূমিকম্পকে অন্যতম মারাত্মক দুর্যোগ বলা হচ্ছে। তুরস্কে এরই মধ্যে প্রাণহানি ১৯৯৯ সালের ভূমিকম্পে মোট মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে।
বৈরি আবহাওয়ার মধ্যেই পঞ্চমদিনের মতো চলছে উদ্ধারকাজ। অনেক এলাকায় খালি হাতে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন কর্মীরা। একের পর এক মরদেহের ভিড়ে মিলছে প্রাণের সন্ধানও।
ভূমিকম্পের ১০০ ঘণ্টা পর দক্ষিণ তুরস্কের আদিয়ামান প্রদেশে জীবিত উদ্ধার হয় নবজাতকসহ ৬ জন। একে বিস্ময়কর ঘটনা বলছেন উদ্ধারকারীরা। এর আগে, হাতায় প্রদেশে উদ্ধার হয় ১০ দিনের শিশু ইয়াগিজ ও তার মা।
ধ্বংসস্তুপে চাপা পড়ে মৃত্যুর পাশাপাশি নিরাপদ আশ্রয়, বিশুদ্ধ পানি এবং জ্বালানির অভাবে বেঁচে থাকাদেরও মৃত্যুঝুঁকি বাড়ছে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এদিকে সিরিয়ার স্থানীয় স্বেছাসেবক সংস্থা জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কারণে দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের অন্তত ১০ হাজার পরিবার গৃহহীন হয়েছে।
এর মধ্যেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে ভূমিকম্পে তুরস্কের ধ্বসে পড়া ভবন নিয়ে। বলা হচ্ছে এসব ভবনের অনেকগুলোই নির্মাণের সময় যথাযথ আইন মানা হয়নি।
জাগরণ/আন্তর্জাতিক/তুরস্তওসিরিয়ায়ভূমিকম্প/এসএসকে