দৈনিক ১০ লাখ ব্যারেল জ্বালানি তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে শীর্ষ তেল উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের জোট ওপেক প্লাস। \
রোববার (২ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক অর্থবিষয়ক গণমাধ্যম ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন থেকে এ খবর জানা গেছে।
অর্গানাইজেশন অব দ্য পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজের (ওপেক) সদস্য দেশগুলোর মধ্যে শুধু সৌদি আরবই দিনে পাঁচ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন কমাবে। কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং আলজেরিয়াসহ ওপেকের সহযোগী সদস্যরাও উৎপাদন কমাবে।
এমন এক সময়ে তেলের বাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখার আশ্বাস থেকে বেড়িয়ে উৎপাদন কমানোর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো, যখন রাশিয়াও উৎপাদন কমিয়েছে বলে জানিয়েছে। রাশিয়া মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত তেল উৎপাদন কম করবে। চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত এই ধারা অব্যাহত রাখতে পারে দেশটি।
ওপেক প্লাসের এই সিদ্ধান্তের কারণে বাংলাদেশেও তেলের দাম বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা শুরু করার পর বিশ্ববাজারে তেল ও গ্যাসের দাম অনেকটা বেড়ে যায়। সাত বছর পর ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যায়।
গত বছর জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছিলেন, বৈশ্বিক সংকট কাজে লাগিয়ে অনেক তেল-গ্যাস কোম্পানি অনৈতিকভাবে মুনাফার রেকর্ড করেছে। তিনি এসব কোম্পানির ওপর বেশি হারে করারোপের আহ্বান জানিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে করের অর্থ চরম অভাবগ্রস্তদের সহায়তায় ব্যবহারের পরামর্শ দেন।
তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর আগে থেকেই বিশ্ববাজারের জ্বালানির দাম বাড়তে শুরু করেছিল। টানা দেড় বছর কোভিডজনিত নানা বিধিনিষেধ থাকার পর উন্নত দেশগুলো তখন কোভিডজনিত সব ধরনের বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নেয়। এরপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে তেলের দাম আরও বেড়ে যায়।
জাগরণ/বিশ্বজ্বালানি/এসএসকে