পুরস্কার বিজয়ী শেফ এবং মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার উপস্থাপক জক জোনফ্রিলো ৪৬ বছর বয়সে মারা গেছেন।
রোববার মাস্টারশেফের ২০২৩ সিজনের প্রিমিয়ার সম্প্রচারের দিন তার মৃত্যু হয়।
জোনফ্রিলো তার স্ত্রী এবং চার সন্তানকে রেখে গেছেন, যারা একটি বিবৃতিতে বলেছেন, তাদের হৃদয় ‘বিদীর্ণ’ হয়ে গেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অনেক শব্দ তাকে বর্ণনা করতে পারে, অনেক গল্প বলা যেতে পারে, কিন্তু এই মুহূর্তে সেগুলো প্রকাশ করার মতো অবস্থায় আমরা নেই।’
২০১৩ সালে অ্যাডিলেডে নিজের রেস্তোরাঁ খোলার আগে এই স্কটসম্যান বিশ্বব্যাপী বিখ্যাত রেস্তোঁরাগুলোতে বিশ্বখ্যাত শেফদের সাথে কাজ করেন।
নেটওয়ার্ক ১০ এই তারকাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেছে, তিনি একটি জাতিকে বাড়ির রান্নার প্রতি অনুপ্রাণিত করেছেন।
‘জকের ক্যারিশমা, হাস্যরসের দুষ্ট অনুভূতি, উদারতা, আবেগ এবং খাবার এবং তার পরিবারের প্রতি ভালবাসা পরিমাপ করা যায় না। তাকে খুব মিস করা হবে’, তারা বলে।
মাস্টারশেফ কর্তৃপক্ষ জানায়, এই সপ্তাহে তারা সম্প্রচার করবে না।
১৯৭৬ সালে গ্লাসগোতে জন্মগ্রহণ করা জোনফ্রিলো ১২ বছর বয়সে রান্নাঘরে কাজ শুরু করেন এবং ১৫ বছর বয়সে বিলাসবহুল স্কটিশ রিসোর্ট দ্য টার্নবেরি হোটেলে কাজ করা সর্বকনিষ্ঠ শিক্ষানবিশদের একজন হন।
দুই বছর পর তিনি মিশেলিন-তারকা জয়ী ব্রিটিশ শেফ মার্কো পিয়ের হোয়াইটের বিখ্যাত হাইড পার্ক হোটেলে কাজ শুরু করেন।
তবে উদীয়মান ক্যারিয়ার সত্ত্বেও জোনফ্রিলো কিশোর বয়সে গৃহহীন এবং হেরোইনে আসক্ত হয়ে পড়েন। তিনি তার স্মৃতিকথা দ্য লাস্ট শট-এ মাদকাসক্তির সাথে তার সংগ্রামের কথা লিখেছেন।
নব্বইয়ের দশকে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার পর তার জীবন নতুন মোড় নেয়। সেখানে তিনি বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ খোলেন, যার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো ২০১৩ সালে খোলা ‘ওরানা’।
২০১৯ সালে মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার নতুন লাইনআপের অংশ হিসেবে তাকে উপস্থাপক ঘোষণা করা হয়। প্রাক্তন প্রতিযোগী এবং সহকর্মী সেলেব্রিটি শেফরা জোনফ্রিলোকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
জাগরণ/আন্তর্জাতিক/এসএসকে