করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্য বিভাগ ১৫ হাজার ৭২৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা নিয়েছে। তাদের বেতন-ভাতা পরিশোধে প্রয়োজন হবে ৩৮১ কোটি ৬১ লাখ টাকা। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে এজন্য সংশোধিত বাজেটে এই অর্থ চাওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, সম্প্রতি করোনাভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। তা মোকাবিলায় জনস্বার্থে ওই অর্থ চাওয়া হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ পেলেই প্রয়োজনীয়সংখ্যক ডাক্তার, নার্স এবং মিডওয়াইফ নিয়োগ দেওয়া হবে।
এছাড়া চলতি অর্থবছরের (২০২১-২০২২) বাজেটে অব্যয়িত ১১৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা করোনারভাইরাস মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সরকারি হাসপাতাল এবং জেলা পর্যায়ের হাসপাতালে ব্যয় করা হবে।
সূত্র জানায়, সম্প্রতি স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে বাজেট বরাদ্দ সভায় এসব দাবি, বিভাগের আর্থিক অবস্থা ও চাহিদা বিষয়ে আলোচনা হয়। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে সংশোধিত বাজেট সভায় অতিরিক্ত তহবিলের এ প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হবে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, দেশের স্বাস্থ্য খাতে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ৩২ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। এ বরাদ্দ ছিল মোট জিডিপির শূন্য দশমিক ৯৫ শতাংশ। এ অর্থের মধ্যে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বেতন-ভাতা বাবদ মোট ১৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
বরাদ্দ করা অর্থের বাকি অংশ সম্পর্কে অর্থ বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, করোনাভাইরাস মহামারির তৃতীয় ঢেউয়ের সময় দেশে পিসিআর পরীক্ষা ও টিকাদান কার্যক্রম চালানোর জন্য বাকি অংশের ১৫ হাজার কোটি টাকা যথেষ্ট।
এদিকে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, চিকিৎসক নিয়োগ প্রক্রিয়া খুব দ্রুত সম্পন্ন করতে চাই।
হাসপাতালগুলোর পরিস্থিতিও উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে দুই হাজার জনেরও বেশি মানুষ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এদের মধ্যে শুধু ঢাকা শহরেই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন এক হাজার রোগী।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশে করোনা সংক্রমণের হার প্রতিদিনই বাড়ছে। ইতোমধ্যে করোনা শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৮৮ শতাংশ ছাড়িয়েছে। ওমিক্রনের কারণে দেশে সংক্রমণ বাড়ছে। ডেল্টা, ওমিক্রনসহ করোনার বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্ট থেকে রক্ষার জন্য সবাইকে আরও বেশি সতর্কভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।